সীতাকুণ্ডে আগুন : সন্তানের মুখ দেখা হল না বাঘারপাড়ার ইব্রাহিমের

0

স্টাফ রিপোর্টার
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪৯ জনের মধ্যে এক জন যশোরের বাঘারপাড়ার ইব্রাহিম হোসেন (২৭)। সোমবার (৬ জুন) ভোরে তার মরদেহ উপজেলার জোহরপুর ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামে এসে পৌঁছায়। স্বজনদের আহাজারিতে শোকাবহ পরিবেশ তৈরি হয়।
নরসিংহপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত মাদ্রাসা শিক্ষক আবুশ কাশেম মুন্সীর ছোট ছেলে ইব্রাহীম হোসেন। ছেলের মৃত্যুতে সাবেক এই শিক্ষক ও তার স্ত্রী দুলুপি বেগম নির্বাক হয়ে গেছেন। শোকে মুষড়ে পড়েছেন নিহত ইব্রাহিমের আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মুন্নি বেগম। গত ২৮ জুলাই তিনি মা হবেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। ইব্রাহিম বলেছিলেন, ঈদের (ঈদুল আযহা) ছুটিতে বাড়ি এসে সন্তানের মুখ দেখবেন।
বিলাপ করছেন দুই বোন সেলিনা ও হালিমা।
নিহতের খালাতো ভাই নাজমুল হোসেন জানান, প্রাণ আরএফএল গ্রুপের এক্সপোর্ট শিপিং সহকারী পদে চাকরি করতে ইব্রাহিম। শনিবার রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে দগ্ধ হন তিনি। এর আগে বাড়িতে মা, বাবা, স্ত্রীসহ অন্যদের সাথে কথা বলেন। তার মাথার পিছনে ও পেটে ভারি কিছুর আঘাত ও দগ্ধের চিহ্ন রয়েছে। মুখ টি শার্ট ও মোবাইল ফোন দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়। মৃত্যু পরও তার মোবাইল ফোনের ভিডিও অপশন চালু ছিল।
নাজমুল আরও জানান, অনেকের মতো ইব্রাহিম আগুনের ভিডিও ফেসবুকে লাইভ করছিলেন। কিছু সময় পর ডিপোর কনটেইনারগুলো বিস্ফোরিত হয়। এরপর থেকে ইব্রাহিম নিখোঁজ ছিলেন। পরদিন রবিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে লাশ পাওয়া য়ায়।
নাজুল হোসেনও সীতাকু-ে প্রাণ আরএফএল গ্রুপের অন্য শাখায় চাকরি করেন।
জোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু বলেন, পাঁচ বছর আগে চট্টগ্রামে চাকরি পান ইব্রাহিম। দেড় বছর আগে নিজের গ্রামেই বিয়ে করেন। তার এমন মৃত্যু পুরো গ্রামের শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সকাল নয়টায় ইব্রাহিমকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।