অভয়নগরে আমডাঙ্গা খালের ৬ ভেন্ট স্লুইস গেটের রেগুলেটর বন্ধ

0

নজরুল ইসলাম মল্লিক, অভয়নগর (যশোর) ॥ অভয়নগরের আমডাঙ্গা খালের ৬ ভেন্ট স্লুইস গেট রেগুলেটর ৫ মাস ধরে অচল রয়েছে। ভবদহের ২৭ বিলের পানি নিষ্কাশন বন্ধ হওয়ায় ফুঁসে উঠেছে ভুক্তভোগী ভবদহবাসী। কয়েকদিনের বর্ষায় প্রায় ১৪ হাজার কৃষকের আঙিনায় পানি উঠেছে। শংকা ও উৎকণ্ঠায় কৃষক পরিবারগুলো। আমডাঙ্গা ৬ ভেন্ট স্লুইস গেট উঠানো -নামানোর জন্যে অপারেটর রাজু পাউবো যশোর কর্তৃক ৮ বছর আগে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। রেগুলেটরগুলো ভাটার সময় উঠানো ও জোয়ারের সময় বন্ধ রাখা তার কাজ। তিনি প্রতি মাসে এ কাজের জন্য ৫০০০ টাকা বেতন পান। কিন্তু গত ৫ মাস তার বেতন বন্ধ। রাজু রাগে -ক্ষোভে -দু:খে কাজ বন্ধ করে দেন। এরফলে পানি নিষ্কাশনও বন্ধ হয়ে গেছে ৫ মাস। গত কয়েকদিনের বর্ষায় পানি বাড়তে শুরু করেছে। বাড়িতেও পানি উঠেছে।
এ ব্যাপারে পাউবো’র সেকশন অফিসার (এসও) তরুণের সেলফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। স্লুইস গেট অপারেটর রাজু জানান, সেকশন অফিসার (এসও) তরুণ ৫ মাস বেতন বন্ধ রেখেছেন । চাকরিও স্থায়ী করেন নি। কপাট ওঠানো- নামানোর জন্যে আমাকে পাউবো বেতনের টাকা দিচ্ছেনা। কাজ করলে বেতন পাবোনা। তাই গেট বন্ধ রেখেছি। পাউবো স্লুইস গেট অপারেটরকে ৫ মাস বেতন দেয়না। ক্ষোভে- দু:খে আমডাঙ্গা খালের কপাট না ঊঠায় ভবদহের ২৭ বিলের পানি নিষ্কাশন বন্ধ। পানিবন্দী কৃষকরা ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। ২০ হাজার কৃষকের বাড়িতে আবার পানি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। এলাকাবাসী জানান, আমডাঙ্গা খালের সংস্কার চাননা প্রভাবশালী একটি মহল। গেট জীর্ণ,তালা খোলা যায়না। পাউবো কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে নীরব। ৩ জুন শুক্রবার এলাকার কৃষকরা স্ব স্ব উদ্যোগে খালের মুখ পরিষ্কার করেন। তারা রাজুকে নিয়ে ত্রুটিপূর্ণ পুরনো মরচে ধরা তালা ও কপাট খোলার চেষ্টা করেন, কিন্তু ব্যর্থ হন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,এদিকে কয়েকদিনের বর্ষণে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর ফসলি জমি ও ২০ হাজার বাড়ির আঙিনায় নতুন করে পানি প্রবেশ করেছে। ভুক্তভোগী এলাবাসী আমডাঙ্গা খালের রেগুলেটর সচল ও গেটম্যান নিয়োগ চান।