সীতাকুন্ডের ঘটনাই প্রমাণ করে সরকার সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ: মির্জা ফখরুল

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ সীতাকুন্ডে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নিহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই অগ্নিকা-ের ঘটনাই প্রমাণ করে সরকার সব ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সরকার মুখে উন্নয়নের কথা বললেও বাস্তবে ফেক। সেখানে অগ্নিনির্বাপকসহ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ছিল না।
যারা আহত হয়েছেন তাদের ঠিকমতো চিকিৎসা দিতেও পারছেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
রবিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমি আতঙ্কিত হচ্ছি এই ভেবে যে দেশ আধুনিক হয়েছে, সিঙ্গাপুর হয়ে গিয়েছে, কিন্তু মানুষের জীবনের ন্যূনতম নিরাপত্তা নাই এই দেশে।
‘উন্নয়নের নামে এই সরকার শুধু অর্থ কামিয়েছে ও চুরি করছে। সীতাকুন্ডের ঘটনাই বলে দেয় দেশে কি উন্নয়ন হয়েছে।’
পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতুকে নিজেদের পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করে। তবে পদ্মা সেতু কারও একক সম্পত্তি না। সম্মিলিত রাষ্ট্রীয় প্রচেষ্টায় তৈরি হয়েছে। এই পদ্মাসেতুর প্রথম ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। একই সঙ্গে মাওয়ার পাড়ে ও ফরিদপুরে তিনি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।’
মির্জা ফখরুলের ভাষায়, দেশ থেকে আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করতে না পারলে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।.
তিনি বলেন, যমুনা সেতুর কাজও করেছে বিএনপি। তবে তারা ক্ষমতায় বসেই সব কৃতিত্ব নিজের বলে দাবি করতে শুরু করে। একজনের নামেই সকল ব্যানার, ফেস্টুন ও মূর্তি তৈরি হয়ে যায়। তারা সেতুর নামটাই পরিবর্তন করে দিল। বিএনপির অবদান তারা কখনই স্বীকার করে না।
দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভঙ্গুর হয়ে গিয়েছে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমাদের মন্ত্রীরা শুধু মুখেই কথা বলে উন্নয়ন আর উন্নয়ন। এখন তো পদ্মা সেতু ছাড়া দেশে আর কিছু নেই। কিন্তু অগ্নিকান্ডে যে এতগুলো মানুষের প্রাণ গেল, এতগুলো মানুষ মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে এর জন্য দায়ী সরকার। করোনার সময় বলেছিলাম দেশে আইসিইউ নাই, অক্সিজেন সরবরাহ নাই, ডাক্তার নাই, নার্স নাই। এখন কিন্তু আবার একই কথা বলতে হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডে আহতদের চিকিৎসাও ভালোভাবে হচ্ছে না।
দেশের মানুষ জেগে উঠলে এবার ওবায়দুল কাদেররাই মাঠ ছেড়ে পালাবেন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে আজ যা হচ্ছে তাতে বড় বড় উন্নয়নের লেকচার দিয়ে আর মন ভোলানো কথা বলে দেশের মানুষকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। দেশের মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসসহ খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বাড়ছে। দেশের জনগণের পেটে লাথি পড়ছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ প্রমুখ।