ব্যবসায়ীদের সাথে সংঘর্ষে ঢাকা কলেজ বন্ধ ঘোষণা

0

 

লোকসমাজ ডেস্ক॥ রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের কারণে ৫ মে পর্যন্ত ঢাকা কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিকেলের মধ্য শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে অধ্যক্ষের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা কলেজ বন্ধ ঘোষণা এবং শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, ‘ঢাকা কলেজের সব আবাসিক শিক্ষার্থীকে জানানো যাচ্ছে যে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অদ্য ১৯ এপ্রিল ২০২২ তারিখ মঙ্গলবার থেকে ৫ মে ২০২২ তারিখ বৃহস্পতিবার পর্যন্তঢাকা কলেজের হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হলো। মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে হল খালি করার নির্দেশ দেওয়া হলো।’
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের মারমুখী অবস্থানের কারণে মঙ্গলবার সকাল থেকে ওই এলাকার সব দোকানপাট ও সায়েন্স ল্যাব থেকে নীলক্ষেত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন। জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘কিছুক্ষণ পরপরই এক-দুজন করে আহত ব্যক্তিরা আসছেন। আমরা এ পর্যন্ত ২০ জনের মতো পেয়েছি। তাদের মধ্যে অনেককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে নিউ মার্কেটে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাতে পুলিশ কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই পক্ষের ইট ছোড়াছুড়ি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ওই এলাকা। সংঘর্ষের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন কয়েকজন সাংবাদিক।

আহত সাংবাদিক : ছবি সংগ্রহ। দুপুর ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ব্যবসায়ীদের ছবি তুলতে গিয়ে সাংবাদিকেরা হামলার শিকার হয়েছেন।

এ সময় এসএ টিভি, দীপ্ত টিভির, আর টিভির ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়। ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এশিয়ান টেলিভিশনের ক্যামেরা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
হামলায় আহত সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন- দীপ্ত টেলিভিশনের সাংবাদিক আসিফ সুমিত, বাংলা ট্রিবিউনের প্রতিবেদক শাহেদ শফিক, আরটিভির ক্যামেরাপারসন সুমন দে। আহতদের মধ্যে সাংবাদিক আসিফ সুমিত মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন।
আহত বাংলা ট্রিবিউনের প্রতিবেদক শাহেদ শফিক জানান, আমি নিউমার্কেট ফুটওভার ব্রিজের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় দেখতে পাই দীপ্ত টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন এবং প্রতিবেদককে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা রড দিয়ে মারছে। আমি তাদের বাঁচাতে এগিয়ে গেলে ব্যবসায়ীরা আমার ওপরও চড়াও হয়। পরে আমিসহ তিনজন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য এসেছি।
খবর সূত্র : দেশ রূপান্তর।