খেলার খবর

0

ডমিঙ্গোর বিরুদ্ধে খেলোয়াড়দের অনেক অভিযোগ আছে: মাশরাফি
স্পোর্টস ডেস্ক॥ বাংলাদেশের ক্রিকেটের বড় একটি অংশ টাইগারদের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর কার্যক্রমে সন্তুষ্ট নন। এবার সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা জানালেন, দক্ষিণ আফ্রিকান কোচকে নিয়ে অসন্তোষ আছে খেলোয়াড়দের মধ্যেও। ডমিঙ্গোর অধীনে মাত্র তিনটি ওয়ানডে খেলার সুযোগ হয় মাশরাফির। দ. আফ্রিকান কোচের সময়ে নেতৃত্ব ছাড়েন এই পেসার। খুব বেশি না হলেও তিন ম্যাচ খেলার সুবাদে ডমিঙ্গোর কার্যক্রম দেখার সুযোগ হয়েছিল মাশরাফির। সেই অভিজ্ঞতা থেকে ডমিঙ্গোকে ভালো কোচ হিসেবে মূল্যায়ন করছেন না ম্যাশ। তিনি মনে করেন, এই কোচের অধীনে দল যেমন চমৎকার কিছু সাফল্য পেয়েছে তেমনি উল্টো পিঠও দেখতে হয়েছে।
‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ বলেন, ‘দল যখন সফল হবে অবশ্যই সেটা তার কৃতিত্ব। আমি মাত্র তিনটা ম্যাচে ওর সঙ্গে কাজ করেছি, তাই কথা বলার সুযোগ কম। তবে যত ম্যাচ আমরা হেরেছি সেই দায়টাও তাকে নিতে হবে। আমরা অনেক ম্যাচ এখানে হেরেছি যেগুলো হারার কথা ছিল না। নিউজিল্যান্ডে যে টেস্ট জিতেছি সেটা আমাদের জেতার কথা ছিল না। এরকমও আছে।’ গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টাইগারদের ব্যর্থতার পর ডমিঙ্গোকে বরখাস্ত করার গুঞ্জন চলছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তা আর সম্ভব হয়নি। তবে ডমিঙ্গোর কার্যক্রম নিয়ে ক্রিকেটার থেকে দেশের ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অনেক অসন্তুষ্ট বলে মনে করেন মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, খেলোয়াড়দের তাকে নিয়ে অনেক অভিযোগ আছে। প্রথম যে জিনিসটা সেটা হচ্ছে, আপনার ড্রেসিংরুম ঠিক থাকা। সেটা যদি থেকে থাকে তাহলে ভালো। আমার কাছে মনে হয়নি ড্রেসিংরুম ঠিক আছে। এজন্য খোলা মনে বলেছি কথাটা। ডমিঙ্গোর বাংলাদেশ ক্রিকেটে সাফল্যের পাল্লা বেশি ভারী নয়। যেটা স্টিভ রোডস বাদ যাওয়ার পরও তার ছিল। একেক কোচের কাছে একেক রকম। বিসিবি যদি তাকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে তাহলে খুব ভালো। এটা বিসিবির সিদ্ধান্ত।’

হকি : ওমানকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
স্পোর্টস ডেস্ক॥ হকিতে বাংলাদেশের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বলতে গেলে ওমানকেই মনে করা হয়। শক্তির দিক দিয়ে প্রায় কাছাকাছি অবস্থানে দু’দলই। তবে এএইচএফ কাপে ‘বি’ গ্রুপে দুই দলের মুখোমুখিতে লড়াইয়ে আবারও আধিপত্য দেখালো বাংলাদেশ। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর বাংলাদেশ ৩-২ গোলে ওমানকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ডিফেন্ডার খোরশেদুর রহমান হ্যাটট্রিক করে বাংলাদেশকে তিন পয়েন্ট এনে দিয়েছেন। এই জয়ে গ্রুপ ‘বি’ থেকে চার ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে থাকছে বাংলাদেশ। এক ম্যাচ হেরে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ওমান গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে খেলবে সেমিফাইনাল। দুটি সেমিফাইনালই হবে আগামী ১৯ মার্চ। সেমিফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কাজাখস্তান। অথচ বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে ওমান। যাদের অবস্থান ২৬তম আর বাংলাদেশ ৩৮তম। টার্ফের খেলাতে অবশ্য এই র‌্যাঙ্কিংয়ের ব্যবধান ছিল না। সমানে সমান লড়াই হয়েছে। বৃহস্পতবিার জাকার্তার জিবিকি ফিল্ডে ম্যাচের ৮ মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। মিলন হোসেনের পুশে সারোয়োর হোসেনের থামানো বলে ড্র্যাগ ফ্লিকে পোস্ট কাঁপান খোরশেদুর রহমান। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে কোনও গোল হয়নি। ৩২ মিনিটে আল ফাজারি রাশেদ ম্যাচে গোল করে ওমানকে সমতায় ফিরিয়েছিল। অরক্ষিত থেকে বক্সে ঢুকে ফাঁকায় লক্ষ্যভেদ করতে কোনও সমস্যা হয়নি এই খেলোয়াড়ের। ৪৮ মিনিটে ওমান স্কোরলাইন ২-১ করে ফেলে। বাইত শামাইয়া মাহমুদের পাসে দারুণ একটি গোল করেন আল লাওয়াতি ফাওয়াদ। গোলকিপার চেষ্টা করেও সেটি প্রতিহত করতে পারেননি। বাংলাদেশ ম্যাচে ফেরার জন্য চেষ্টা করতে করতে সফল হয় ৫৬ মিনিটে। পেনাল্টি কর্নার থেকে রাসেল মাহমুদ জিমির পুশে সতীর্থের থামানো বলে খোরশেদুর রহমান দারুণ গোল করে দলকে সমতায় ফেরান। ম্যাচের নাটকীয়তা তখনও বাকি! ম্যাচ শেষ হওয়ার দুই মিনিট আগে বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসে পেনাল্টি স্ট্রোক প্রাপ্তি। ৫৮ মিনিটে পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে খোরশেদুর রহমান তৃতীয় গোল করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। এরই সঙ্গে দলের হয়ে এই টুর্নামেন্টে তৃতীয় হ্যাটট্রিকম্যানও হয়ে যান তিনি।

ফাইনালের আগেই সোনা নিশ্চিত বাংলাদেশের
স্পোর্টস ডেস্ক॥ এশিয়া কাপ-ওয়ার্ল্ড র‌্যাঙ্কিং আর্চারির স্টেজ ওয়ানের মেয়েদের রিকার্ভের এককের ফাইনালের আগেই সোনা নিশ্চিত হয়ে গেল বাংলাদেশের। এই লড়াইয়ের ফাইনালে উঠেছেন বাংলাদেশের দুই আর্চার দিয়া সিদ্দিকী ও নাসরিন আক্তার। আগামী শনিবার সোনার লড়াইয়ে নামবেন তারা। থাইল্যান্ডের ফুকেটে কোয়ার্টার-ফাইনালে ভারতের হেমব্রম লক্ষ্মীর বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ৬-৫ সেট পয়েন্টে জয় পান বাংলাদেশের মেয়ে নাসরিন। আর সেমিফাইনালে তিনি মালয়েশিয়ার ফোজি নুরতে ৬-৫ ব্যবধানে হারিয়ে নিশ্চিত করেন ফাইনাল। আরেক কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের ঋধিকে ৬-৪ ব্যবধানে হারান দিয়া। সেমিতে ভারতের আরেক প্রতিযোগী পুনিয়া তিশাকে ৭-৩ সেট পয়েন্টে হারান তিনি। বাংলাদেশের মেয়েরা ফাইনাল নিশ্চিত করলেও পুরুষ রিকার্ভ ইভেন্টে শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নিয়েছেন রোমান সানা। অন্যদিকে শেষ চার থেকে পড়েন আরেক বাংলাদেশি আর্চার হাকিম আহমেদ রুবেল।