উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যবইয়ের আগেই নোট-গাইডে বাজার সয়লাব

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ একাদশ শ্রেণির ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের নতুন পাঠ্যবইয়ের মোড়ক উন্মোচন হচ্ছে আগামীকাল বুধবার। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কার্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এ মোড়ক উন্মোচন করবেন। ওইদিনই শুরু হবে একাদশ শ্রেণির ক্লাস। তবে নতুন পাঠ্যবই উদ্বোধনের আগেই উচ্চ মাধ্যমিকের নোট-গাইডে বাজার সয়লাব হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, এনসিটিবির অনুমোদিত বাংলা, বাংলা সহপাঠ, ইংরেজি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ের বইয়ের মুদ্রণকাজ শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ বছর উচ্চ মাধ্যমিকের ইংরেজি বইয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) করা মাঠপর্যায়ের জরিপে ইংরেজি বইয়ে শিক্ষার্থীরা যেসব বিষয় কঠিন ও দুর্বোধ্য বলে চিহ্নিত করেছেন, সেসব অধ্যায় বাতিল করে নতুন বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে জীবনব্যবস্থা, নারীর অগ্রগতি ও সাহসিকতাসহ বিভিন্ন অধ্যায় যুক্ত করা হয়েছে। এজন্য আগের চেয়ে ইংরেজি বইয়ের পৃষ্ঠার সংখ্যা বেড়েছে। বইয়ের দামও পাঁচ টাকা বাড়ানো হয়েছে। তবে অন্যান্য বইয়ের দাম অপরিবর্তিতই থাকছে।
জানা গেছে, এবার এনসিটিবি উচ্চ মাধ্যমিকের চারটি বিষয়ের মোট ৪২ লাখ বই ছাপানোর অনুমোদন দিয়েছে। সেই হিসেবে প্রতিটি বই ১০ লাখের কিছু বেশি ছাপানো হচ্ছে। এ বাবদ প্রায় পাঁচ কোটি টাকা আয় করেছে। এ অর্থ সরকারের রাজস্ব খাতে জমা দেওয়া হবে। গত বছরের ডিসেম্বরে এসব বই ছাপানোর দরপত্র করা হয়। তবে রাজধানীর বিভিন্ন বইয়ের দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ বছর উচ্চ মাধ্যমিকের নতুন বই বাজারে আসার আগে নোট-গাইড বইয়ে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। নতুন বইয়ের পাণ্ডুলিপি আগেভাগে সংগ্রহ করায় বিভিন্ন প্রকাশনার মালিকরা নিজেদের প্রেসে নোট-গাইড তৈরি করে বাজারে ছেড়েছেন। বাজারে মূল বই না আসায় শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা বিকল্প হিসেবে চড়া দামে এসব নোট-গাইড কিনছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম মঙ্গলবার বলেন, উচ্চ মাধ্যমিকের বই ছাপানোর কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ২ মার্চ এসব বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হবে। সারাদেশের সব জেলায় একসঙ্গে বই পাঠানো হবে। কোথাও বইয়ের সংকট থাকবে না। তিনি বলেন, এবার ইংরেজি বইয়ে ছয়টি অধ্যায়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বইয়ের দাম আগের মতো রাখা হয়েছে। কেউ যেন নকল বই ছাপাতে না পারে, সেজন্য আমাদের একটি মনিটরিং টিম মাঠে কাজ করবে। বইয়ের মান আগের চেয়ে আরও ভালো হচ্ছে। তবে বাজারে উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যবইয়ের নোট-গাইড বিক্রির বিষয়ে কোনো তথ্য নেই বলে জানান এনসিটিবি চেয়ারম্যান।