লোকসমাজ ডেস্ক॥ চূড়ান্ত ‘যুদ্ধ প্রস্তুতি’র অংশ হিসেবে ইউক্রেন সীমান্তে বিপুল যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে রাশিয়া। গত পাঁচদিন ধরে ইউক্রেন সীমান্ত লাগোয়া দেশটির পাঁচটি বিমানঘাঁটি থেকে তোলা উপগ্রহচিত্রে এমন দৃশ্যই দেখা যাচ্ছে। একে মনে করা হচ্ছে রুশ বাহিনীর চূড়ান্ত ‘যুদ্ধ প্রস্তুতি’র অংশ। সাঁজোয়া গাড়ি, কামান, যুদ্ধজাহাজ আগে থেকেই মোতায়েন ছিল। তবে সাম্প্রতিক ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সীমান্ত এলাকায় বিপুল পরিমাণ যুদ্ধবিমানও মোতায়েন করা হয়েছে। পশ্চিম রাশিয়ায় অবস্থিত রুশ বিমানঘাঁটিগুলোর পাশাপাশি ইউক্রেন থেকে ছিনিয়ে নেয়া ক্রিমিয়া, এমনকি সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের অংশ বেলারুশেও রুশ বিমানবহরের উপস্থিতি নজরে এসেছে ওই উপগ্রহচিত্রে। চিত্রগুলোতে দেখা গেছে, সুখোই-৩০, মিগ-৩৫ যুদ্ধবিমান এবং সামরিক হেলিকপ্টারের পাশাপাশি নানা সামরিক সরঞ্জামও মজুদ করা হচ্ছে সেখানে।
মস্কোর তরফ থেকে মঙ্গলবার ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আইগর কোনাশেনকভ জানিয়েছিলেন, দক্ষিণ ও পশ্চিম প্রদেশের সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট মহড়া শেষ হওয়ায় তারা ঘাঁটিতে ফিরে যাচ্ছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার উপগ্রহচিত্র তুলে ধরে আমেরিকা দাবি করে, ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা সরানো তো দূরের কথা, এখনো ক্রমাগত সেনা পাঠিয়ে যাচ্ছে মস্কো। ইউক্রেন সীমান্তের ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে অন্তত ১৪টি ঘাঁটি বানিয়েছে রুশ বাহিনী। দ্রুত সীমান্তে সেনা পাঠাতে রাতারাতি তৈরি করে ফেলা হয়েছে অস্থায়ী সেতুও। এই পরিস্থিতিতে ক্রিমিয়ার বন্দরে কয়েক দিন আগেই পৌঁছেছে তিনটি রুশ যুদ্ধজাহাজ। ২০১৪ থেকে রাশিয়া ইউক্রেনের এই অংশটি নিজেদের দখলে রেখে দিয়েছে। সেখানে সক্রিয় রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সাথে ইতোমধ্যেই ইউক্রেন সেনাদের কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে বলে আমেরিকাসহ পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি। আমেরিকার গোয়েন্দাবাহিনীর একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে ইউক্রেন সীমান্তে অন্ততপক্ষে ১ লাখ ৯০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে ভ্লাদিমির পুতিন সরকার।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা