বাঘারপাড়ায় দুই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ভাতাভোগীদের কার্ড দিতে টাকা নেয়ার অভিযোগ

0

বাঘারপাড়া (যশোর) সংবাদাতা॥ যশোরের বাঘারপাড়ার বাসুয়াড়ি ইউনিয়নে সমাজ সেবা অধিদফতরের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা ভাতাভোগীদের কার্ড প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অ্যাকাউন্ট খোলা বাবদ, অফিসে টাকা লাগবে, চেয়ারম্যান টাকা নিতে বলেছেন এমন অজুহাত দেখিয়ে ভাতাভোগীদের কাছ থেকে কয়েকজন ইউপি সদস্য টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। ভাতাভোগী অনেকেই ধার দেনা করে টাকা পরিশোধ করে কার্ড নিয়েছেন। তবে অর্থের বিনিময়ে কার্ড প্রদানের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মেম্বার মতিয়ার বিশ্বাস ও বাবুল আক্তার।
স্থানীয়দের এশাধিক অভিযোগে জানা গেছে, সমাজসেবা অধিদফতরের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় শতভাগ ভাতার আওতায় আনার জন্যে বাসুয়াড়ি ইউনিয়নে সাড়ে সাত শতাধিক ভাতাভোগীর নাম চূড়ান্ত করা হয়। সে অনুযায়ী গত মঙ্গলবার বিনা খরচে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে ভাতার কার্ড বিতরণ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। তবে ওই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মতিয়ার বিশ্বাস ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার বাবুল আক্তার একাধিক ভাতাভোগীর কাছ থেকে ১শ থেকে শুরু ৫শ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভাতাভোগী জানিয়েছেন, ইউনিয়ন পরিষদে টাকা লাগবে এমন কথা বলে বাবুল মেম্বার ৩শ টাকা করে আদায় করেছেন। যারা টাকা দিতে অস্বীকার করেছেন তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করেন তিনি।
অন্যদিকে মতিয়ার মেম্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ব্যাংক হিসাব খোলার জন্যে এবং ‘চেয়ারম্যানের নির্দেশ অনুযায়ী’ সকলের কাছ থেকে টাকা ৫শ টাকা করে আদায় করেছেন। এসব দাবি মেটাতে ধার দেনা করে মেম্বারকে খুশি করেছেন অনেক ভাতাভোগী। এ বিষয়ে বাবুল আক্তার জানিয়েছেন, ভাতাভোগীদের কাছ থেকে মিষ্টি খাওয়া বাবদ কিছু টাকা পয়সা নেওয়া হয়েছিল। পরে জানাজানি হলে তা ফেরত দেওয়া হয়। তবে মতিয়ার বিশ্বাস অভিযোগের বিষয় সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। বাবুল আক্তার ও মতিয়ার বিশ্বাস ছাড়া আরও দু-এক জনের বিষয় শোনা গেলেও বিস্তারিত জানা যায়নি। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান সরদারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি বিধায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। সমাজসেবা কর্মকর্তা এটিএম মাসুদ হোসেন জানান, টাকা নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। তবে অভিযোগের সত্যতা পেলে মাসিক সমন্বয় সভায় বিষয়টি তোলা হবে এবং নির্বাহী অফিসারকে জানানো হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ ন ম অবুজর গিফারী বলেন, সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।