জিহাদ হত্যা ও বাড়িঘর ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ মামলার আসামিদের গ্রেফতারের দাবি

0

শেখ বদর উদ্দীন, ফুলবাড়ীগেট (খুলনা)॥ খুলনার খানজাহান আলী থানার মশিয়ালী গ্রামে ২০২০ সালের ১৬ জুলাই এলাকাবাসীর হামলায় মশিয়ালী গ্রামের জিহাদ শেখ নিহত হয় এবং একই এলাকার মৃত হোসেন আলীর পুত্র মোঃ জাকারিয়া, মিল্টন ও জাফরিন এর বাড়িতে ভাংচুর, লুটপাট করা সহ জিহাদ হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে ২৯ জানুয়ারী বেলা ১২ টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মামলার বাদী শেখ জাফরিন । সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২০২০ সালের ১৬ জুলাই এলাকার মুজিবর নামে এক ব্যক্তিকে গুলি সহ খানজাহান আলী থানা পুলিশ আটক করে। এ খবরে মুজিবর এর নিকট জনেরা মনে করেন আমি সহ আমার ভাইয়েরা তাকে পরিকল্পিত ভাবে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দিয়েছি। এসময় গ্রামের মিটুল শেখ, আজাদ শেখ, মাসুম বিল্লাহ, সাজ্জাদ শেখ, আলাউদ্দিন গাজী, লিটন শেখ , আমিনুর সর্দার , আমিন সহ কয়েকজন পুলিশের কাছ থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে । কিন্তু পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায় । এরপর উল্লেখিত ব্যক্তিরা আমার বাড়িতে প্রবেশ করে গুলি ও হাতবোমা বিস্ফোরন করে এবং বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটসহ অগ্নিসংযোগ করে। তারা আমার নাবালাক ভাইপো পিয়ালকে কুপিয়ে আহত করে, আমার বোন নুপুরসহ বাড়িতে থাকা ৫ মাসের অন্তসত্বা মহিলাকে কুপিয়ে জখম করে । তারপর আমার ভাই জাকারিয়ার বাড়িতে গিয়ে ভাংচুর করে এবং মটর সাইকেলসহ বাড়িতে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় । একই কায়দায় আমার ভাই মিল্টন, নিহত জিহাদ শেখ, জুয়েল শেখ সহ আমার নিকটআতী¡য় স্বজনদের বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এক পর্যায়ে আমার চাচাতো ভাই জিহাদকে রাস্তায় পেয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে । এ ছাড়া তাদের ছোড়া গুলিতে নজরুল শেখ, সাইফুল শেখ, রসুল শেখ নিহত হয় । এঘটনায় ষড়যন্ত্রমুলকভাবে আমাদের গুলিতে তারা মারা গেছে বলে প্রচার করে এবং আমার পরিবারের ২২ জনের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে । এ মামলায় আমি সহ আমার ভাইয়েরা পুলিশের কাছে আটক হয় । পরবর্তিতে গত বছরের ১২ ডিসে¤বর জেল থেকে জামিনে আসার পর ৯ জানুয়ারী খানজাহান আলী থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা কোর্টে করার পরমার্শ দেন। সেই মোতাবেক ১১ জানুয়ারী বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এর আমলি আদালতে ১০৮ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করি। আমার ভাই মোঃ জাকারিয়া ১৬ জানুয়ারী বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এর আমলি আদালতে ১১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে আরোও একটি মামলা দায়ের করে । বর্তমানে মামলাটি তদন্তের দায়িত্বে পিবিআই এর উপর ন্যাস্ত করা হয়েছে বলেও তিনি জানান । আমার চাচাতো ভাই জিহাদ শেখ হত্যা মামলার আসামি মোকসেদ শেখ বাদি হয়ে আদালতে একই গ্রামের মিটুল শেখ , আজাদ শেখ সহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জনের নামে মামলা করে । ঘটনার ২ বছর পরও আসামিদের হুমকি ধামকি অব্যাহত রয়েছে । মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা পিবিআই এর ভুমিকা রহস্যজনক বলেও তিনি জানান । সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন এলাকার সন্ত্রাসীদের ভয়ে ১৭ টি পরিবার নিয়ে আমরা এলাকায় যেতে পারছিনা রাস্তায় রাস্তায় চরম মানবেতর জীপন যাপন করছি। আমরা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে এলাকায় বসবাস করতে পারি তার সুব্যবস্থা করতে স্থানীয় প্রতিনিধি ও প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অথচ আমার ভাই জিহাদ হত্যা মামলার আসামিরা এবং বাড়িঘর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ কারীরা এখনও প্রশাসনের সামনে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে । অতিদ্রুত সকল আসামিদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান সংবাদ সম্মেলন থেকে শেখ জাফরিন হোসেন । এসময় উপস্থিত ছিলেন জাফরিনের বড় ভাই মিল্টন, জাকারিয়া, ইউসুফ গাজী, ফারুক শেখ, মফিজ শেখ, ফেরদৌস সুলতানা, নুপুর বেগম, নাজমা বেগম, শাহীন সরদার, সরদার গোলাম জিলানী মুন প্রমুখ ।