জীবননগরে দুই ভাইয়ের পরিবারে সংঘর্ষ, আহত ১০

0

নুর আলম,জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) ॥ জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধে দুই ভাইয়ের পরিবারের সদস্যদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারীসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে সোমবার সন্ধ্যায় উথলী গ্রামের ফার্মগেট পাড়ায়। এলাকাবাসীরা জানান, সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে রাহেন এবং তার দুই ছেলে রিয়ন ও সুলতান চিড়ার মিলে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় রাহেনের ভাই আলী আকবার (৬৫), খাইরুল (৫৫), আলী আকবারের ছেলে আবুল কালাম (২৮), ওমর ফারুক ওরফে কালু (২২), খাইরুলের ছেলে দাউদ (২৫), রাহেনের অপর ভাই আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাজু (১৮) সংঘবদ্ধ হয়ে রাহেন ও তার দুই ছেলেকে রাস্তায় আটকে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা পল্লী চিকিৎসক সেলিমের ওষুধের দোকানে আশ্রয় নেন। হামলাকারীরা লাঠিসোটা ও দেশি অস্ত্র নিয়ে ওই ওষুধের দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে তাদেরকে মারধর করে এবং ওষুধের দোকান ভাঙচুর করে। এসময় হামলার শিকার তিন জনের পক্ষের লোকজন প্রতিরোধে এগিয়ে এলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ছয়জনকে মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জীবননগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা হলেন, রায়হান ওরফে রাহেন (৪৫),খায়রুল ইসলাম (৫৫),রিয়ন হোসেন (১৭), সুলতান (১৬), মুসলিমা খাতুন (৩৫), এবং দাউদ হোসেন(২৫)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাহেন ও তার ছেলেরা কারো ওপর হামলা করেনি। কারণ তারা খালি হাতে বাড়ি ফিরছিলেন। তবে প্রতিপক্ষ খায়রুল ইসলামের স্ত্রী মুসলিমা খাতুনের দাবি তার স্বামী ও ছেলের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। ভাদিরন নেছা বলেন,আমার স্বামীর মৃত্যুর পর আমার ছোট ছেলে রাহানের বাড়িতে থেকে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। আমার বড় ছেলে আলী আকবর,খায়রুল ইসলাম,ও রাজ্জাকেরা আমাকে খোঁজখবর নেয় না। আমি কয়েক শতক জমি ছোট ছেলে রাহানের নামে লিখে দিই। সেই জমিকে ঘিরে তারা ভাইয়ে ভাইয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। সোমবার সন্ধ্যা রাতে আমার ছেলে রাহান ও তার ছেলেরা বাড়ি ফিরে যাওয়ার সময় আলী আকবরসহ আমার অন্য ছেলেরা তাদেরকে হামলা চালিয়ে আহত করে। জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক বলেন, উথলীতে ভাইয়ে ভাইয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। ঘটনা শোনা মাত্র সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখনও পর্যন্ত ঘটনার ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিক তথ্যেও ভিত্তিতে দায়ী ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালায়।