দেশপ্রেম কেন হারিয়ে যাচ্ছে

0

ইকতেদার আহমেদ
পাকিস্তানের শাসনামলে ১৯৭০ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন-পরবর্তী সংখ্যাগরিষ্ঠ দলকে সরকার গঠন করতে না দেয়ায় ১৯৭১ সালে সংক্ষুব্ধ নেতারা স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের ডাক দিলে দেশের ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক, জনতা দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামের পেছনের ইতিহাস পাকিস্তানের শাসনামলের শোষণ ও বঞ্চনা। দীর্ঘ ৯ মাসের স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রাম-পরবর্তী স্বাধীন দেশে হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর সবাই আশা করেছিল, রাজনৈতিক নেতাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ অল্প সময়ের মধ্যে একটি আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে; কিন্তু কিছু অনাকাক্সিক্ষত ঘটনায় বারবার এ দেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। দেশপ্রেম অর্থ- দেশকে ভালোবাসা, দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের জন্য কাজ করা, দেশের সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা করা, দেশের যেকোনো বিপর্যয়ে অসহায় ও বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানো ও সাহায্যে এগিয়ে আসা, দেশের স্বার্থের পরিপন্থী কোনো কাজ না করা, দেশের সম্পদ রক্ষায় সচেষ্ট থাকা, মিতব্যয়ী হওয়া এবং অপচয় রোধ করা। দেশপ্রেম পরিমাপের কোনো স্বীকৃত মানদণ্ড না থাকলেও একজন ব্যক্তির কথা, কাজ ও আচরণে দেশপ্রেমের হার নির্ধারণ সম্ভব। দেশপ্রেম বিষয়ে ইসলামী চিন্তাবিদদের উক্তি- ‘হুব্বুল ওয়াতানে মিনাল ঈমান’। অর্থ- দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ। ঈমান বলতে আমরা বুঝি- আন্তরিক বিশ্বাস, এর মৌখিক স্বীকৃতি এবং সে অনুযায়ী কাজ করা। যেকোনো দেশের একজন জাতীয় নেতার মধ্যে পরিপূর্ণ দেশপ্রেম না থাকলে তার পক্ষে সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়। রাষ্ট্র বিজ্ঞানীদের মতে- একজন জাতীয় নেতার মধ্যে দেশপ্রেম, সততা, একাগ্রতা ও ত্যাগ এ চারটি গুণের সমন্বয় ঘটলে তার পক্ষে দেশকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে খুব বেশি সময় লাগার কথা নয়। আমাদের পাশের রাষ্ট্রের স্থপতির একটি অমর বাণী, ‘Plain living high thinking’, যার অর্থ হচ্ছে- সাধারণভাবে জীবন-যাপন ও মহৎ চিন্তন। এ অমর বাণীতে উজ্জীবিত হয়ে দেশটির জাতীয় নেতারা সাধারণভাবে জীবন যাপন এবং স্বচ্ছভাবে দেশ পরিচালনা করে নিজেদেরকে অপরের জন্য আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। শ্রীলঙ্কা ও নেপালের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। শুধু পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এর অভাব তীব্রভাবে অনুভূত হচ্ছে। স্বাধীনতা-উত্তর একদলীয় শাসক ও সামরিক শাসকদের স্বেচ্ছাচারীভাবে দেশ পরিচালনার কারণে সব পর্যায়ের জবাবদিহিতা লোপ পায় এবং পরে গণতান্ত্রিক সরকার এলেও এখন পর্যন্ত এর উত্তরণ হয়নি। বিগত বছর কয়েক আগে পত্রিকায় প্রকাশিত সাবেক জোট সরকারের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও চিফ হুইপের চিকিৎসা বিল, আসবাবপত্র বিল, জ্বালানি বিল, আপ্যায়ন বিল প্রভৃতি এবং পরবর্তী সরকারগুলোর কিছু মন্ত্রী ও এমপির কার্যকলাপ পরীক্ষা করলে দেখা যায়, অনিয়ম ও দুর্নীতিতে তারা কতটুকু বেপরোয়া এবং নৈতিকতা ও মূল্যবোধ কিভাবে তাদের কাছে অসহায়।
পৃথিবীর উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সাধারণ জনগণ সেসব দেশের স্থপতি ও জাতীয় নেতাদের আদর্শ অনুসরণ করে দেশপ্রেমের যে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন তা থেকে আমাদের জন্য শিক্ষণীয় অনেক কিছু থাকলেও আমরা কেন এ সব বিষয়ে নির্বিকার? আমাদের স্থলবন্দরগুলোতে ভারত থেকে আমদানিকৃত বিভিন্ন পণ্য নিয়ে ভারতের ট্রাক প্রবেশ করার পর ক্ষেত্রবিশেষে পণ্য খালাসে এক থেকে পাঁচ দিন সময় লাগার কারণে ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপারদের ওই সময় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থান করতে হয়। ভারতের প্রতিটি ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপারকে দেখা যায় তাদের আহার্য খাদ্যসামগ্রী সাথে করে নিয়ে এসেছেন এবং ট্রাকে রক্ষিত নিজস্ব চুলায় রান্না করে ক্ষুণ্ণিবৃত্তি নিবারণ করছেন। বাংলা দেশে অবস্থানকালে ভারতের কোনো ট্রাক ড্রাইভার বা হেলপার বাংলাদেশের কোনো হোটেলে আহার গ্রহণ করেছেন বা চা পান করেছেন বা কোনো দোকান থেকে কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী ক্রয় করেছেন এমন নজির খুব কম। এর বিপরীতে দেখা যায়, আমাদের বাংলাদেশের ট্রাক ড্রাইভাররা যখন পণ্য নিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন, তখন তারা সে দেশের হোটেলে রুই মাছের মাথা ও মুরগির রান দিয়ে ভাত খেয়ে পণ্য খালাসের পর দেশে ফেরার পথে তথায় বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী ক্রয় বাবদ অর্থ ব্যয়ে কুণ্ঠিত না হয়ে স্বস্তিবোধ করেন। একদা আমাদের দেশের সংখ্যালঘু একজন সরকারি কর্মকর্তা সস্ত্রীক ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার শহরতলীর এক আত্মীয়ের বাড়িতে যান। আত্মীয়ের বাড়িতে ছয়-সাত দিন থাকার কারণে তাদের জন্য যে বাড়তি ব্যয় হবে সে ব্যয়ের কিছুটা লাঘবের উদ্দেশে একদিন তিনি পাশের বাজার থেকে কিছু মাছ কেনার সিদ্ধান্ত নেন। বাজারে যাওয়ার পর দেখতে পেলেন, একজন মাছ বিক্রেতা গোটা বিশেক মাঝারি সাইজের কৈ মাছ নিয়ে বসে আছেন। তিনি মাছের দাম জিজ্ঞেস করাতে মাছ বিক্রেতা বললেন, প্রতিটি মাছের দাম পাঁচ রুপি। তিনি সব মাছ ক্রয়ের আগ্রহ ব্যক্ত করে মাছগুলোর দাম কত জিজ্ঞাসা করলে মাছ বিক্রেতা তাকে পাল্টা প্রশ্ন করেন, মশাই, আপনার বাড়ি কোথায়? তিনি বাংলাদেশের কথা বলাতে মাছ বিক্রেতা বললেন, আপনার কাছে আমি মাছ বিক্রি করব না। আজকে কি কৈ মাছ শুধু আপনিই খাবেন? অন্যরা কৈ মাছ কিনতে এলে আমি কোত্থেকে তাদের মাছ দেবো? পরে বাংলাদেশী ভদ্রলোক জানতে পারলেন ভারতীয়রা গৃহের লোকসংখ্যা হিসাব করে নির্দিষ্টসংখ্যক মাছ বা মাছের টুকরা ক্রয় করে থাকে, যা বেশির ভাগ সময়ই দুই থেকে ছয়টির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। আমাদের বাংলাদেশে দেখা যায় একজন সামর্থ্যবান ব্যক্তি বাজারে গেলে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে তার চাহিদার বিপরীতে বিপুল পরিমাণ মাছ ক্রয় করছেন। এটি একধরনের অমিতব্যয়িতা এবং একজন অমিতব্যয়ী ব্যক্তি কখনো প্রকৃত দেশপ্রেমিক হতে পারে না। ভারতের ট্রাক ড্রাইভার ও মাছ বিক্রেতার মধ্যে তাদের অবচেতন মনে দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর অনুসরণে যে দেশপ্রেম জন্ম নিয়েছে তা হয়তো আমাদের দেশের নেতৃস্থানীয় অনেকের মধ্যে নেই। আমাদের দেশে যখন মারাত্মক বিদ্যুৎ ঘাটতি, তখন দেখা যায় মন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, সহকারী ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, সচিবের ব্যক্তিগত কর্মকর্তার অফিসে, পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক আমলার অফিসে ও বাসভবনে, উচ্চাদালতের বিচারকদের বাসভবনে প্রাধিকারের অনুপস্থিতিতে দুই থেকে ১২টি পর্যন্ত ‘এয়ার কুলার’ চলমান এবং এগুলোর বিল সরকারিভাবে পরিশোধ করা হচ্ছে। প্রাধিকারের বিপরীতে এ ধরনের অননুমোদিত ব্যবহার এবং সরকারিভাবে বিল পরিশোধ গুরুতর অসদাচরণের অন্তর্ভুক্ত। বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে সেচ পাম্প ও কল-কারখানায় বিদ্যুৎ না দিতে পারায় আমাদের যখন কৃষি ও শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, তখন প্রাধিকার প্রাপ্তদের অফিস ও বাসভবনে এয়ার কুলারের ব্যবহার পরিহারপূর্বক দেশপ্রেমের নজির স্থাপনে আমরা ক’জন উদ্যোগী হয়েছি?
বিদেশী ফলের অবাধ আমদানির কারণে এখন আমাদের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও এসব ফলের প্রাধান্য পরিলক্ষিত হয়। শহরের যেকোনো ফলের দোকানে দেশীয় ফলের উপস্থিতি সামান্য। মালয়েশিয়া আমাদের চেয়ে অনেক সম্পদশালী রাষ্ট্র হওয়া সত্ত্বে¡ও দেশীয় ফলকে রক্ষার স্বার্থে বিদেশী ফল আমদানির ব্যাপারে রক্ষণশীল মনোভাব পোষণ করে থাকে। মালয়েশিয়ার ছোট-বড় সব হোটেলে অতিথিদের আহারের পর দেশীয় ফল পরিবেশন করা হয়। এমনকি হোটেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অতিথির আগমনের পর কক্ষে সৌজন্যমূলকভাবে যে ফল দেয়া হয় তার সম্পূর্ণটিই দেশীয় ফল। বিদেশী ফল আমদানি পরিহার করে আমরা দেশীয় বিভিন্ন ফলের উৎপাদন বৃদ্ধি ঘটিয়ে আমাদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় করে সে বৈদেশিক মুদ্রা বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে ব্যয় করতে পারি। বিদেশে কর্মরত আমাদের দেশের শ্রমিকদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণের কারণে অর্থনীতি এখনো সচল রয়েছে। অথচ আমাদের দেশের বিত্তবান অনেককেই দেখা যাচ্ছে তাদের ধানমন্ডি-গুলশান এলাকার সম্পত্তি বিক্রি করে শ্রমিকদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রা হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাঠিয়ে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের নিমিত্ত বাড়িঘর ও সম্পদ ক্রয় করছেন। তাদের এহেন কার্যকলাপে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমাদের দেশে বর্তমানে উৎকৃষ্ট মানের কাপড় প্রস্তুত হয়। এর দ্বারা পুরুষ ও মহিলাদের সব ধরনের পরিধেয় কাপড়ের চাহিদা মিটানো সম্ভব ঘরে ও বাইরে। কিন্তু তার পরও দেখা যায় আমাদের দেশের উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে বিদেশী কাপড় পরিধানের ব্যাপারে বিপুল আগ্রহ। উভয় শ্রেণীর সদস্যদের মধ্যে দেখা যায় ঈদ বা বিয়ে অন্ষ্ঠুানে ভারতীয় শাড়ি কাপড়ের প্রাধান্য। এমনও দেখা যায়, ঈদ বা বিয়ে অনুষ্ঠানের আগে পরিবারের একাধিক সদস্য আমাদের পাশের ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় গিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমতো শাড়ি কাপড় ক্রয় করছেন। এ কারণে বর্তমানে কলকাতা শহরের বড় বড় বিপণি বিতান সম্পূর্ণরূপে বাংলাদেশী ক্রেতাদের ওপর নির্ভরশীল এবং তাদের মোট বিক্রির ৬০-৮০ শতাংশ বাংলাদেশী ক্রেতারা দখল করে আছে। আমাদের দেশের এক ভদ্রলোক একবার ঈদুল আজহার আগে তার স্ত্রীসমেত শাড়ি ক্রয় করার জন্য ঢাকার বসুন্ধরা শপিংমলে যান। তার স্ত্রী অন্যান্য ঈদে ভারতীয় শাড়ি কেনায় এবার তার মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয় যে, তিনি ঈদে স্ত্রীকে দেশী শাড়ি উপহার দেবেন। শপিংমলের পাঁচ-ছয়টি শাড়ির দোকানের বিক্রয়কর্মীদের শাড়ি দেখাতে বললে সবাই ভারতীয় শাড়ি দেখাতে থাকে। ভদ্রলোক বাংলাদেশী শাড়ি দেখানোর অনুরোধ করলে প্রতিটি দোকানের বিক্রয়কর্মীই গর্বভরে বলতে থাকে- আমরা দেশীয় শাড়ি বিক্রি করি না। ঈদের সময় আমাদের ঢাকা শহরের অভিজাত বিপণি বিতানগুলোতে মহিলাদের যেসব শাড়ি কাপড় ও সালোয়ার-কামিজ বিক্রি হয় তার ৯৮ শতাংশই দখল করে আছে বিদেশী শাড়ি কাপড়। ছেলেদের শার্ট, প্যান্ট ও স্যুটের ক্ষেত্রে দেখা যায়, অভিজাত শ্রেণী ভারতের বিশেষ ব্র্যান্ডের কাপড় ক্রয়ে আগ্রহী। এ কারণে বর্তমানে ঢাকা শহরে এ ব্র্যান্ডের কাপড় বিক্রি করেন, এ ধরনের দোকানের সংখ্যা দু’ডজন অতিক্রম করেছে। সার্কভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও মালদ্বীপ ব্যতীত অপর চারটি রাষ্ট্র যথা- ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভুটানের জাতীয় নেতারা দেশে উৎপাদিত কাপড় দ্বারা প্রস্তুতকৃত নিজ নিজ দেশের জাতীয় পোশাক পরিধান করেন। এখন পর্যন্ত আমাদের জাতীয় পোশাক নির্ধারিত না হওয়ায় জাতীয় নেতা ও পদস্থ আমলারা একেক জন একেক ধরনের পোশাক পরিধান করেন। আমাদের জাতীয় পোশাক নির্ধারণ করে দেশীয় কাপড় দ্বারা প্রস্তুত করার বিষয় নিশ্চিত করতে পারলে তা দেশীয় বস্ত্রশিল্প বিকাশের ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশে তাঁতে প্রস্তুত বিভিন্ন ধরনের শাড়ি যেমন- জামদানি, মসলিন, কোটা ও সিল্ক প্রভৃতি গুণে ও মানে ভারতীয় শাড়ির সমতুল্য এবং ক্ষেত্রবিশেষে উচ্চমানের। এ ক্ষেত্রে আমাদের জাতীয় পর্যায়ের নেতৃস্থানীয়রা দেশীয় শাড়ি পরিধানে আগ্রহী হয়ে উঠলে দেশের ব্যাপক জনগোষ্ঠী তাদের অনুসরণ করবে, যা বর্তমানে হুমকির মুখে পতিত তাঁতশিল্পে নতুন গতির সঞ্চার করবে। (চলবে)
লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক