ছয় দফা দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ শিরোমণিতে

0

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা ॥ খুলনা শিরোমণির ব্যক্তি মালিকানাধীন বন্ধকৃত মিল চালুসহ ৬ দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বেসরকারি পাট, সুতা বস্ত্রকল শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন ও ক্ষতিগ্রস্ত বেসরকারি জুট মিলের শ্রমিকরা। রবিবার সকাল ১১ টায় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়। বেলা ১২ টা পর্যন্ত অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন করেন শ্রমিকরা।
সকাল থেকে বিভিন্ন জুট মিলের শ্রমিকরা শিরোমনি হুগলী বিস্কুট কোম্পানী শ্রমিক ইউনিয়নের সামনে একত্রিত হতে থাকে। সকাল পৌনে ১১ টায় মহসেন জুট মিলের শ্রমিকরা মিছিল নিয়ে খুলনা-যশোর মহাসড়কে উঠতে গেলে খানজাহান আলী আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। এ সময় শ্রমিকরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন এবং সেখানে অবস্থান নিয়ে শ্লোগান দিতে থাকেন। এসময় সেখানে আতঙ্কের সৃষ্টি হয় এবং আশপাশের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। খানজাহান আলী থানা রোডে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। শ্রমিকরা সেখানেই বেলা ১২ টা পর্যন্ত অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন করেন।
বেসরকারি পাট, সুতা, বস্ত্রকল শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি শেখ আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের প্রচার সম্পাদক সাইফুল্লাহ তারেকের পরিচালনায় এ সময় বক্তারা বলেন, শ্রমিকের দাবি আদায়ে আমরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আমাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসন ব্যারিকেড দিয়েছে।
শ্রমিক নেতারা বলেন, ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী শ্রমিকের পাওনা পরিশোধের আগ পর্যন্ত মিল থেকে কোন মালামাল বের হবে না। তারপরও মিলের মালামাল রাতের আঁধারে বের করা হচ্ছে, তখন কেন পুলিশ প্রশাসন ব্যারিকেড দেয় না? জুট স্পিনার্স মিলের মালিক ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ৩০ ডিসেম্বর এর মধ্যে মিল চালু ও শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করতে চেয়েছিলো। মিল কর্তৃপক্ষ তা বাস্তবায়ন করেনি। মহসেন জুট মিলের শ্রমিকরা ৮ বছর অতিবাহিত হলেও তাদের চূড়ান্ত পাওনা আজও পায়নি। শিরোমনি হুগলী বিস্কুট কোম্পনীর শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ না করে কারখানা বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকরা ধুকে ধুকে না মরার চেয়ে একবারেই মরতে চায়।
এসময় বক্তৃতা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল খান, খানজাহান আলী থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার স. ম রেজওয়ান আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্বারী আসহাব উদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইজ্ঞিল কাজী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাতাব উদ্দিন, খানজাহান আলী থানা ওয়ার্কার্স পাটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার মোল্লা, মো. সেকেন্দার আলী, লিয়াকত মুন্সি, নিজামউদ্দীন, মো. কাবিল হোসেন, ওবায়দুর রহমান, ইকবাল বিশ্বাস, শাহ মনিরুল ইসলাম, কাগজী ইকরাম হোসেন, আসাদুজ্জামান আশা প্রমুখ ।