যশোরে নুসরাত আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় স্বামীকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর শহরের ঘোপ সেন্টাল রোডের গৃহবধূ নুসরাত বেগম হিমু আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় স্বামী আব্দুর রহমান মামুনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় দুইজনের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা অনুপম রায়। অভিযুক্ত আব্দুর রহমান মামুন ঝিকরগাছার বাদে নাভারণ গ্রামের শাহাজান মোড়ল লিটনের ছেলে।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, নুসরাত বেগম হিমু গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ফকির হাটখোলা গ্রামের আবু বক্কারের মেয়ে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হিমুর সাথে পরিচয় হয় আব্দুর রহমান মামুনের। পরিচয়ের পর প্রেম। এরপর বছর দেড়েক আগে হিমু পরিবারের অমতে বাড়ি ছেলে চলে আসে মামুনের কাছে। তারা বিয়ে করে যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের অক্সফোর্ড ইংলিশ স্কুলের ভানু ম্যাডামের বাড়িতে ভাড়া নিয়ে থাকতেন। প্রায় সময় মামুন কারণে অকারণে হিমুর ওপর নির্যাতন চালাতেন। বিষয়টি হিমু মোবাইল ফোনে তার পিতা-মাতাকে জানাতেন। হিমুর শাশুড়ি হিমুকে গলাই দড়ি দিয়ে মরার কথা বলতেন। গত ২৪ জুন রাত সাড়ে ৮টার দিকে হিমুর সাথে মামুনের ঝগড়া হয়। সে সময় মামুন কয়েকটি চড় থাপ্পড় মারেন হিমুকে। পরদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মামুনের খালু মোবাইল ফোনে জানান হিমু আত্মহত্যা করেছেন। হিমুর পিতা সংবাদ পেয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে এসে মেয়ের মরদেহ দেখতে পান। এ ব্যাপারে হিমুর পিতা আবু বক্কার আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়িসহ তিনজনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে আসামির দেওয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় স্বামী মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় হিমুর শাশুড়ি ও মারুফের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। চার্জশিটে অভিযুক্ত মামুনকে আটক দেখানো হয়েছে।