চৌগাছায় সরকারী জমি দখলের চেষ্টাকারী ইয়াকুব আলীর দৌড়ঝাপ

0

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু, চৌগাছা (যশোর)॥ যশোরের চৌগাছায় নানা কৌশল অবলম্বন করে সরকারী জমি দখলকারী ইয়াকুব আলীকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর তিনি ব্যাপক দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। রাজনৈতিক দলের নেতা থেকে শুরু করে ছুটছেন সরকারী অফিস আদালতে। শুধু তাই না নিজেকে নির্দোশ প্রমানে সে পত্রিকায় সংবাদের প্রতিবাদ দিয়ে ’শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা’ করছেন বলে মনে করেন এলাকাবাসি।
চৌগাছা পারবাজারে কপোতাক্ষ নদের পাড়ে পরিবার পরিজন নিয়ে একাই বসবাস করেন বৃদ্ধ ইয়াকুব আলী। তার বাসস্থানের পূর্বে কপোতাক্ষ নদ, পশ্চিমে সরকারী খালি জায়গা, উত্তরে মালিকানাধীন ফাকা মাঠ আর উত্তরে কলাবাগান। এমন এক স্থানে ইয়াকুব আলী যুগযুগ ধরে বসবাস করে আসছেন। তার আদিনিবাস পিরোজপুর জেলাতে হলেও তিনি ছোট বেলায় চৌগাছায় আসেন। স্থানীয়রা বলেন, বর্তমান যে স্থানে তিনি বসবাস করছেন বলাচলে তার চারি পাশেই রয়েছে সরকারী অনেক সম্পত্তি। মাঝখানে তিনি ২ বিঘা জমিতে তার বাস। নিজের নামে ২ বিঘা জমি থাকা সত্বেও সে চৌগাছা সেতুর পশ্চিমে মেইন সড়ক ঘেষে একটি মসজিদ নির্মানের জন্য ২০১৮ সালে চাটায় দিয়ে বেড়া দেন। এরপর সেখানে আস্তে আস্তে ইট দিয়ে প্রাচীর দিতে থাকেন। সম্প্রতি মসজিদের সামনের খালি স্থান যা পূর্বে মেইন সড়ক হিসেবে সকলই চিনতেন সেই জায়গায় ওজুখানা তৈরীর নাম করে ইট দিয়ে প্রাচীর নির্মান শুরু করেন। চৌগাছা পৌর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানার পর কাজ বন্ধ করে দেন এবং মসজিদের জমির কাগজপত্র নিয়ে পৌরসভায় আসার নির্দেশ দেন। ঘটনাটি নিয়ে গত ২২ ডিসেম্বর স্থানীয় বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় চৌগাছায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ও বসতবাড়ি তৈরী করে সরকারী জমি দখলের চেষ্টা শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ পাই। মূলত এই সংবাদ প্রকাশের পর সুচতুর ইয়াকুব আলী দৌড়ঝাপ শুরু করেন। তিনি দাবি করেছেন পারবাজারের ওই মসজিদ স্থানীয়দের নিয়ে তৈরী করেছেন। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ উল্টো, মসজিদ নির্মানের সময় তিনি স্থানীয় কারও সাথে কোন পরামর্শ করেননি। এমনকি প্রায় ৩/৪ বছর ধরে সেখানে নামাজ আদায় করা হলেও নেই কোন কমিটি। মসজিদের আয় ব্যয়েরও কোন হিসেব নেই বলে জানান স্থানীয়রা। পারবাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, বৃদ্ধ ইয়াকুব আলী মসজিদ নির্মান করবেন ভাল কথা, কিন্তু সরকারী জমিতে কেন? তার পাশেই নিজের নামে ২ বিঘা জমি আছে সেখানে তেরী করলে তো ভাল হত। কপোতাক্ষের মাঝখানে কেটে রাখা মাটির ঢিবিতে তিনি টিন দিয়ে ঘর বানিয়ে যে ভাবে দখল করার চেষ্টা করছেন অনুরুপ ভাবে মসজিদ তৈরী করে এর চারপাশের সরকারী জমি সে ধীরে ধীরে দখলে নিবে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে সংশ্লিষ্ঠদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসি।