কেশবপুরে ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে জমির দখল পেতে সংবাদ সম্মেলন

0

স্টাফ রিপোর্টার, কেশবপুর (যশোর) ॥ যশোরের কেশবপুর উপজেলা সদরের কাঁচা বাজারে এক ভাড়াটিয়া প্রভাব খাটিয়ে মালিক সেজে দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে জমি অবৈধভাবে ভোগ দখলে রেখেছেন। আদালতের রায়ে জমির মালিক দখল নিতে গেলে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। গত বুধবার উপজেলার দেউলী গ্রামের লুৎফর রহমান কেশবপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে লুৎফর রহমান বলেন, ১৯৮৬ সালে পৌর এলাকার মধ্যকুল গ্রামের কার্তিক চন্দ্র সরকার গং’র কাছ থেকে তিনি কাঁচা বাজারের ৮ শতক জমি ক্রয়সহ ঘর নির্মাণ করে ভোগ দখল করছেন। ২০০৭ সালে লুৎফর রহমান তার জমিতে নির্মিত দোকানঘর স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরসহ চুক্তিপত্র করে ভাড়া দেন আইয়ুব হোসেন, অরুন কুমার পাল, বরুন কুমার পাল, কামরুল ইসলাম ও সাহাবউদ্দীনের কাছে। কয়েক মাস ঘর ভাড়া দেয়ার পর ওই জমি সরকারি সম্পত্তি দাবি করে আইয়ুব হোসেনসহ ভাড়াটিয়ারা ভাড়ার চুক্তিপত্র অস্বীকার করেন এবং লুৎফর রহমানকে ওই ঘরের ভাড়া দেয়া বন্ধ করে দেন। এরপর থেকে আইয়ুব হোসেনসহ ভাড়াটিয়ারা ওই ঘর জবর দখলে রাখার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে একের পর এক মামলা করে লুৎফর রহমানকে হয়রানি করতে থাকেন। এ নিয়ে ভাড়াটিয়ারা ২০০৭ ও ২০১৬ সালে সহকারি জজ আদালতে দুটি দেওয়ানী মামলা করলেও রায় লুৎফর রহমানের পক্ষে যায়। আদালতে রায় পাওয়ার পরও ওই জমি লুৎফর রহমানকে বুঝে দেয়া হচ্ছে না। রায়ের কপি নিয়ে জমির ওপর গেলে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের মারপিটসহ খুন-জখমের হমকি দিচ্ছেন ভাড়াটিয়ারা। এদিকে, গত ১৭ ডিসেম্বর অবৈধ ভাড়াটিয়ারা দোকানঘর ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়ে লুৎফর রহমান ও তার পরিবারকে ফাঁসানোসহ প্রশাসনিক হয়রানির চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। তিনি জমির দখল বুঝে পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আব্দুল খালেক, শামছুর গাজী, এনামুল হক প্রমুখ।