ওমিক্রনে আক্রান্তদের উপসর্গ নিয়ে যা জানালেন শনাক্তকারী চিকিৎসক

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ দক্ষিণ আফ্রিকার যে চিকিৎসক কর্তৃপক্ষকে সর্বপ্রথম করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন সম্পর্কে অবহিত করেছিলেন তিনি এর উপসর্গ কেমন তা জানিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফকে ড. অ্যাঞ্জেলিক কয়েটজি জানান, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তদের উপসর্গ ‘অস্বাভাবিক কিন্তু হালকা’। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ার। দক্ষিণ আফ্রিকার চিকিৎসক জানান, এই মাসের শুরুতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তরা রাজধানী প্রিটোরিয়াতে তার ব্যস্ত বেসরকারি হাসপাতালে এমন উপসর্গ নিয়ে আসছিলেন যা স্বাভাবিক ছিল না। তখন তিনি নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিষয়ে সচেতন হতে শুরু করেন। তিনি জানান, আক্রান্তরা বিভিন্ন শ্রেণি ও জাতির তরুণ ছিলেন যাদের চরম অবসাদ এবং ছয় বছরের এক শিশুর খুব উচ্চ পালস রেট ছিল। আক্রান্তদের কেউ স্বাদ বা গন্ধের অনুভূতি হারায়নি।
ড. কয়েটজি বলেন, আমি আগে যেসব করোনা রোগী চিকিৎসা করেছি তাদের চেয়ে নতুন রোগীদের উপসর্গ খুব ভিন্ন ছিল এবং খুব হালকা। ১৮ নভেম্বর একই পরিবারের চার সদস্য করোনা পজিটিভ হন। তাদের সবাই ছিলেন চরম ক্লান্ত। তখন ড. কয়েটজি দক্ষিণ আফ্রিকার টিকা উপদেষ্টা কমিটিকে বিষয়টি অবহিত করেন। তিনি জানান, অন্তত ২৪ জন নতুন ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গ থাকা রোগী করোনা পজিটিভ বলে শনাক্ত হন। এদের বেশিরভাগ স্বাস্থ্যবান পুরুষ যারা খুব ক্লান্ত বোধ করছিলেন। এদের অর্ধেক টিকা নেননি।
ড. কয়েটজি বলেন, একটি খুব অন্য রকম কেস ছিল। ছয় বছরের এক শিশুর জ্বর ছিল এবং পালস রেট ছিল খুব বেশি। আমি তাকে ভর্তি করা নিয়ে দ্বিধায় ছিল। দুদিন পর যখন আমি ফলোআপ করি তখন সে অনেক ভালো ছিল। শনিবার আফ্রিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনকে নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে ব্রিফ করেছেন ড. কয়েটজি। তিনি জানিয়েছেন, তার সব রোগীরা স্বাস্থ্যবান এবং বয়স্কদের নতুন ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্ত করতে পারে বলে তিনি উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে যাদের ডায়বেটিস বা হৃদরোগের মতো কো-মরবিডিটিজ আছেন এমন রোগীদের আক্রান্তের ঝুঁকি বেশি। তিনি বলেন, আমাদের এখন উদ্বেগের বিষয় হলো যখন বয়স্ক ও টিকা না নেওয়া মানুষেরা নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হবেন তখন রোগ গুরুতর হতে পারে।