সংরক্ষণ ব্যবস্থার অভাব: খুলনার শিক্ষার্থীরা টিকা পাবে ডিসেম্বরে

0

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা॥ খুলনায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ফাইজারের তৈরি টিকা দেওয়া হবে। আগামী ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে। প্রথম দিকে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা টিকার আওতায় আসবে।
ইপিআই খুলনা জেলা সুপার শেখ আব্দুল বাকী জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে মহানগরীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে। পরে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দেওয়া হবে। খুলনা নগর ভবনের একটি শীতাতপ কক্ষ নির্বাচন করে স্থাপন করা হবে টিকা কেন্দ্র। ওই কক্ষে স্থাপন করা হবে তিনটি বুথ। ছয় জন সেবিকা টিকা গ্রহিতাদের টিকা দিবেন। প্রশিক্ষণের জন্য ইপিআই থেকে দু’জন কর্মকর্তা, হাসপাতাল থেকে ছয় জন সেবিকা ও দু’জন ডাক্তার ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। ট্রেনিং শেষ করে আগামী সপ্তাহে তারা খুলনায় ফিরবেন। ফাইজারের টিকা সংরক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট তাপমাত্রার প্রয়োজন। সেই তাপমাত্রার মেশিন খুলনায় নেই। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জন্য প্রয়োজন জেনারেটর, ঔষধ রাখার জন্য ফ্রিজ ও ঔষধ সংরক্ষণ করা ঘরের জন্য এসি এখনও খুলনায় আসেনি। তবে দক্ষ প্রকৌশলীর মাধ্যমে আগ্রীম কিছু কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, টিকার কোন সংকট নেই। দক্ষ জনবলের সংকট রয়েছে। খুলনা মহানগরীর প্রতিটি স্কুলে অগ্রীম চিঠি পাঠানো হবে। সে অনুযায়ী প্রতিটি বিদ্যালয়ে গাড়ি পাঠিয়ে শিক্ষার্থীদের কেসিসি’র শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে টিকা দিয়ে আবারও গড়িতে করে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার জানান, টিকা সংরক্ষণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা হলেই তা আনা হবে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মাহমুদ জানান, অন্যান্য জেলার মতো ঔষধ রাখার পরিবেশ খুলনায় নেই। তাই টিকা দান কর্মসূচীতে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। তবে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শিক্ষার্থীদের মঝে টিকা প্রদান করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত ১৪ নভেম্বর খুলনা জেলা ও মহানগর করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভায় ২০ নভেম্বর থেকে খুলনার শিক্ষার্থীদের ফাইজারের তৈরি করোনা টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।