অভয়নগরে বিভিন্ন শ্রেণির সরকারি পাঠ্যবই বিক্রির চেষ্টার অভিযোগ

0

স্টাফ রিপোর্টার, অভয়নগর (যশোর) ॥ অভয়নগরে বিভিন্ন শ্রেণির নতুন পাঠ্যবই ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসীর প্রতিরোধে বইগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলার ধোপাদি গ্রামের ধোপাদি দপ্তরীপাড়া শহিদুল্লাহ দাখিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। উদ্ধারকৃত বইগুলো উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে ওই মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসার মূল ভবনের সামনে প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ বিজ্ঞান, ইসলাম ধর্ম, নৈতিক শিক্ষা, কৃষি শিক্ষাসহ আরও অন্যান্য বিষয়ের বই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। পাশে একটি ওজন পরিমাপের ডিজিটাল মেশিনও রয়েছে। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, সরকারি পাঠ্যবই বিক্রি করা হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। উদ্ধার করা বইগুলোর মধ্যে ২০১৯ ও ২০২০ সালের বিভিন্ন শ্রেণির নতুন বই রয়েছে। আনুমানিক সাড়ে ১২ মণ ওজন হলেও বইগুলোর প্রকৃত সংখ্যা এ মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। জব্দকৃত বই উপজেলা শিক্ষা অফিসে নেয়া হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার নতুন বইগুলো ওজন করে একটি নসিমনে ভর্তি করা হচ্ছিল। এসময় স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল হামিদ দপ্তরীর নেতৃত্বে এলাকাবাসী প্রতিরোধ করলে নসিমন চালক ও মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষা ইউনুস আলী বইগুলো ফেলে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হামিদ দপ্তরী বলেন, এই মাদ্রাসায় শিক্ষক ও শিার্থীর সংখ্যা সর্বমোট ৩০ জন। এখানে এত বই কিভাবে দিয়েছে সরকার। এই চক্রের সাথে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি। সরকারি বই বিক্রির বিষয়ে মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ইউনুস আলীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল্লাহ, মাদ্রাসার সুপার, সহকারী সুপারসহ সকল শিকমন্ডলীর সম্মতিতে বইগুলো বিক্রি করা হচ্ছিল। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি শহিদুল্লাহ মোবাইল ফোনে জানান, তিনি বই বিক্রির বিষয়ে কিছুই জানেন না। মেয়ের অসুস্থতার কারণে এলাকার বাইরে রয়েছেন। যদি শিক্ষকরা জড়িত থাকেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।