মশায় নাজেহাল খুলনাবাসী !

0

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা॥ মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ খুলনা মহানগরবাসী। দিন রাতের ব্যবধান ঘুচে চলছে মশার অত্যাচার। মশার কয়েল জ¦লছে অফিসে, বাসা বাড়িতে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। তবু মিলছেনা পরিত্রাণ। মশক নিধনের দায়িত্ব খুলনা সিটি কর্পোরেশনের। কর্তৃপক্ষের দাবি তাদের কর্মীরা কাজ করছেন। কিন্ত কি কাজ হচ্ছে, প্রশ্নের জবাব পায়না নগরবাসী? গত তিন মাস ধরেই চলছে মশার অত্যাচার। তবে শীতের আমেজ বাড়ার সাথে সাথে মশার আক্রমণও বেড়েছে। সারাদিন কমবেশী থাকলেও দুপুর গাড়িয়ে গেলে এদের আক্রমণ আরও বেশী হয়। বাড়ির আশপাশের ড্রেন ও জঙ্গল থেকে এদের উৎপত্তি। নিয়মিত ওষুধ না ছিটানোর কারণে মশার উৎপাত বাড়ছে বলে মনে করছেন নগরবাসী।
নগরীর টুটপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবু মো: শরীফ জনান, মাস খানেক ধরে মশার কামড়ে অস্থির। স্থানীয় কাউন্সিলারকে জানানো হলে এলাকায় ফগার মেশিন দিয়ে ধোয়া দিয়ে যায়। এটা দিলে কিছুক্ষণ মশার হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যায়। পরে আবার আগের মতোই মশার উৎপাত চলতে থাকে।
বড় মির্জাপুর এলাকার বাসিন্দা গৌতম রায় জানান, ঘরে মশক নিধণের জন্য তিনি বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করেছেন। সময়িকভাবে মশার হাত থেকে নিস্তার পেলেও পরক্ষণ আবার মশার আক্রমণ শুরু হয়ে যায়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানিয়ে কোন লাভ হয়নি বলে অভিযোগ তার। এখানে কোন ফগার মেশিন বা স্প্রে ম্যান দেখাও যায়নি। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান বজ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ জানান, এখন মশার প্রজননের সময়। আবহাওয়া পরিবর্তনের করণে মূলত মশার উপদ্রব। মশক নিধণের জন্য সকালে লার্ভি সাইড বা কালো তেল মারা হয়। বিকেলে ফগার মেশিন দিয়ে ধোয়া দেওয়া হয়। মূলত: লার্ভি সাইডের কাজ হলো মশার লার্ভা মারা। মশা এ তেলের ওপর এসে বসলেও মারা যাবে। খুলনা মহানগরীর ৩১ টি ওয়ার্ডে ৩১ জন কাজ করছে। সাথে আরও অতিরিক্ত ৩১ জন রয়েছে। অতি জরুরী প্রয়োজনে আরও তিন জন লোক বেশী রাখা হয়েছে। মশক নিধণের জন্য ক্রাস প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছে খুলনা সিটি কর্পোরেশন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মশার আক্রমণ তেমন একটা থাকবে না। এছাড়া সকলকে বাড়ির আঙ্গিনা ও ঘরের আশপাশের ময়লা আবর্জনা পরিস্কারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।