চৌগাছা পাশাপোল ইউনিয়নের সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয়ে আছেন আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহীন

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের চৌগাছা উপজেলার পাশাপোল ইউনিয়নে নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. শাহীন রহমান। শনিবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন নৌকার প্রার্থী ও তার সমর্থকরা নির্বাচনের পরিবেশ বানচালে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বহিরাগত সন্ত্রাসীরা ভীড় করছে। তারা নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা বাঁধা সৃষ্টি করছে এবং সন্ত্রাসী তাণ্ডব চালাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পাশাপোল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. শাহজাহান, সমিরণ মন্ডল শ্রী কেতু সরকার, হরেণ রায়, আব্দুর রাজ্জাক, নূর ইসলাম প্রমুখ। লিখিত বক্তব্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহীন রহমান বলেন, নির্বাচনে আমার পক্ষে গোটা ইউনিয়ন গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এসব দেখে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী অবায়দুল ইসলাম সবুজ আমার ভোটারদের মাঝে ভীতি সৃষ্টি করার জন্য নানা অপকৌশল শুরু করেছে। ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে মালিগাতি, রানীয়ালী গ্রামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। তারা প্রচার-প্রচারণায় বাঁধা সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে হিন্দু কর্মী, সমর্থক ও ভোটারদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। নিজের আশ্রিত ও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দিয়ে তাণ্ডব চালিয়ে প্রচার করছেন।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিনে এ ধরনের একাধিক ঘটনায় রিটানিং কর্মকর্তা ও থানায় অভিযোগ দেয়ার পরও থামেনি তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। যা ভোটের মাঠে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে রানিয়ালী স্কুলের কাছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণার সময় পরিকল্পিতভাবে প্রচার মাইক ও ইজিবাইক ভাঙচুর করে আমার ভোটার ও সমর্থকদের দায়ি করছে। যশোর থেকে সাংবাদিক ডেকে নিয়ে তাদের কাছে এসব কল্প কাহিনী তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমি প্রশাসনের কাছে নিরপেক্ষ ভুমিকার প্রত্যাশা করছি। জনগন যদি শান্তিপূর্নভাবে ভোট দিতে পারে তাহলে আমার বিজয় নিশ্চিত। তবে এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অবায়দুল ইসলাম বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহীন রহমান যে অভিযোগ করেছেন তা সঠিক নয়। শুক্রবার মাগরিবের আজানের পরে আমি ইউনিয়নের মালিগাতি বাজার থেকে রানীয়ালির দিকে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে রানীয়ালি স্কুল পার হয়ে আনারস প্রতীকের মিছিলের পিছনে পড়ি। কিছুক্ষণ পরে যখন মিছিলটি পার হচ্ছি তখনই আনারস প্রতীকের প্রার্থীসহ মিছিলের লোকজন আমার গাড়িটি ঘিরে ধরে। তারা আমার গাড়িটির সামনের গ্লাস ভেঙে ফেলে আর পিছনের কভার ছিড়ে ফেলে। হামলার সময় তারা নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে বিশ্রি ভাষায় গালমন্দ করে। পরে পুলিশ এসে হামলাকারীদের সাথে কথা বলে আমাকে চেয়ারম্যান বাড়ির মোড় পর্যন্ত দিয়ে যায়।