ঝিনাইদহে সড়ক বিভাগের প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে যৌতুক-নির্যাতনের মামলা স্ত্রীর

0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ॥ সড়ক ও জনপথ বিভাগের মাগুরা বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আহসানুল হক টিটুর বিরুদ্ধে স্ত্রী নির্যাতন ও যৌতুক দাবির মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানায় মামলাটি করেন তার স্ত্রী শাহনাজ পারভিন সানু। আহসানুল হক টিটু শৈলকুপা উপজেলার কোর্টপাড়ার গোলাম কবীর মজনুর ছেলে। শাহনাজ পারভিন সানু এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ২০১৮ সাল থেকে তার স্বামী আহসানুল হক টিটু শৈলকুপার ভাটই কুলচারা এলাকার আনোয়ার হোসেনের মেয়ে শেফালী খাতুনের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এই সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর থেকে তিনি ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে তার ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছেন। নির্যাতন সইতে না পেরে তিনি তার ভাইদের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা এনে দেন। কিছুদিন ভালো থাকার পর আবারও বাকী ৪ লাখ টাকার জন্য তিনি অত্যাচার করতে থাকেন। শাহনাজ পারভিন সানু অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, নির্যাতনের পরও তিনি তার দুটি শিশু সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে স্বামীর ঘর করতে থাকেন। গত ৩০ অক্টোবর যৌতুকের বাকী টাকা না দেওয়ায় তাকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠান স্বামী টিটু।
জানা গেছে, শাহনাজ পারভিন সানুর ভাই মনিরুল ইসলাম বিদেশে থাকার সুযোগে তার স্ত্রী শেফালী খাতুনের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে প্রকৌশলী টিটুর। এ নিয়ে ওই পরিবারে ব্যাপক অশান্তির সৃষ্টি হলে বহুবার শালিস বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি। শ্যালকের স্ত্রী শেফালীর সাথে প্রকৌশলী টিটুর বহু অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও রয়েছে। এক পর্যায়ে শ্যালক মনিরুল তার স্ত্রী শেফালীকে যেমন তালাক দেন তেমনি প্রকৌশলী আহসানুল হক টিটুও তার স্ত্রী শাহনাজ পারভিন সানুকে তালাক দেন। স্ত্রী নির্যাতনের মামলার বিষয়ে মাগুরা সড়ক বিভাগে কর্মরত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আহসানুল হক টিটু জানান, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হবে। কারণ তিনি তার স্ত্রীকে ২৬ অক্টোবর তালাক দিয়েছেন। ফলে ৩০ অক্টোবর তাকে নির্যাতন করা মিথ্যা ও অসত্য। তিনি দাবি করেন, তার স্ত্রী তাকেই মারধর করতেন। তিনি শিশু সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে কিছুই বলেননি। ৯ বছর ধরে তিনি স্ত্রীর নির্যাতন সহ্য করে গেছেন। তার মুখের ভাষা খুবই খারাপ। প্রকৌশলী টিটুর ভাষ্যমতে, তার স্ত্রীর সাথে ফিরোজ পুলিশ ও গুঞ্জনসহ একাধিক যুবকের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তার স্ত্রীর কোথায় কোথায় তিল বা চিহ্ন আছে তাও মোবাইল করে ওই যুবকরা তাকে বলে দিতো। ফলে স্ত্রীর সাথে আর সংসার করা তার পক্ষে সম্ভব না হওয়ায় তিনি তালাক দিয়েছেন। তবে শ্যালকের স্ত্রীর সাথে পরকীয়া, অন্তরঙ্গ ভিডিও ও ছবির বিষয়ে কোন মন্তব্য না করে এড়িয়ে যান প্রকৌশলী আহসানুল হক টিটু। শৈলকুপা থানা পুলিশের ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (গ) ধারা মতে রেকর্ড করা হয়েছে।