বাগেরহাটে নির্বাচন পরবর্তী দফায় দফায় হামলা সর্বশেষ সহিংসতায় আহত ১০, বাড়ি-ঘর ভাংচুর

0

বাগেরহাট সংবাদদাতা॥ বাগেরহাটে প্রতিপক্ষের কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলা ও বাড়ি-ঘর ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত সদস্য প্রার্থী শেখ আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে। নির্বাচনে হেরে গিয়ে সদর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী শেখ আব্দুল লতিফের সমর্থকরা কয়েক দফায় বিজয়ী প্রার্থী আনিস শেখের সমর্থকদের উপর হামলা করে। দফায়-দফায় হামলার ঘটনা পরবর্তীতে সংঘর্ষে রূপ নেয়। গত ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়।
সর্বশেষ গত মঙ্গলবার সকালে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী শেখ আব্দুল লতিফ ও বিজয়ী আনিস শেখের সমর্থকরা ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ৮টি বসত ঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়। এর মধ্যে আলতাফ মলি¬ক ও আজরুল শেখ গুরুতর আহত অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং মোশাইদ হাচান খন্দকার ও আছর খন্দকার বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর আগে ৩১ অক্টোবর রাতে উভয় প্রার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৫ জন আহত হওয়ার খবর রয়েছে।তাছাড়া ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। পরাজিত ও বিজয়ী প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের এমন আচরণে ভীত সন্ত্রস্ত এলাকাবাসী। বিজয়ী ইউপি সদস্য আনিুসুর রহমান বলেন, নির্বাচনে পরাজিত হয়ে প্রতিশোধ নিতে আব্দুল লতিফ ও তার লোকজন এলাকায় সাধারণ ও নিরীহ কর্মী সমার্থকদের উপর হামলা করছে, মারপিট চালাচ্ছে। শুধু তাই নয়, তারা বাড়ি ঘর ভাংচুর করছে। আমরা এর বিচার চাই।
বিজয়ী ইউপি সদস্য আনিুসুর রহমানের অভিযোগ অস্বীকার করে হেরে যাওয়া প্রার্থী শেখ আব্দুল লতিফ বলেন, তার কোনো কর্মী সমর্থক কারও উপর হামলা করেনি। বরং আনিুসুর রহমানের লোকজন একাধিকবার হামলা করেছেন। বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, মসজিদে বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জেরে পুনরায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।