ই-পাসপোর্ট: ৪টি মিশনে চালু, আবেদন পড়েছে ৪৫০

0

আল-আমিন॥ দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে চালু হচ্ছে ই-পাসপোর্ট সেবা। গত ৫ই সেপ্টেম্বর জার্মানির বার্লিনে বাংলাদেশর দূতাবাসে ই-পাসপোর্টের উদ্বোধন করা হয়। জার্মানির পর ৩টি দেশে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম শুরু করেন কর্তৃপক্ষ। সেগুলো হলো- গ্রিস, আমেরিকা ও ইতালি। বাকি মিশনগুলোতেও ই-পাসপোর্ট সেবা চালু হবে। ওদিকে মিশনে ই-পাসপোর্টে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। বারকোডের প্রিন্টে কালি সমস্যা, সফ্‌?টওয়্যার সমস্যা, ছবি তোলা, মোবাইলে আবেদন, সঠিক সময়ে আবেদন ডেলিভারি না দেয়া ও ফিঙ্গার প্রিন্টে সমস্যার কারণে বাড়ছে ভোগান্তি। ১ মাস ১৯ দিনে ৪ টি মিশনে মোট ৪৫০ টি ই-পাসপোর্টের আবেদন পড়েছে। গ্রিসে ১২৯ টি, ইতালিতে ১১০টি, আমেরিকায় ১১২টি ও জার্মানিতে ৯৯টি আবেদন পড়েছে।
পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ বলছে, অনেক সমস্যা মাড়িয়ে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু হয়েছে। ৪ মিশনে ডেলিভারি দেয়া শুরু হয়েছে। আস্তে আস্তে অন্যান্য মিশনে চালু হবে। কর্তৃপক্ষ প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ই-পাসপোর্টের সঠিক নিয়ম মেনে যাতে তারা আবেদন করেন। জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনসহ আনুসঙ্গিক যেসব কাজ রয়েছে সেগুলো যাতে তারা নির্ভুলভাবে আবেদন করেন। নইলে তারা ভোগান্তির শিকার হবেন। এ বিষয়ে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক (ই-পাসপোর্ট) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুর রহমান খান জানান, ‘৪টি মিশনে ই-পাসপোর্ট চালু হয়েছে। আবেদন পড়েছে ৪০০ এর বেশি। আস্তে আস্তে অন্যান্য মিশনে চালু হবে। তিনি বলেন, ‘যেহেতু সেবাটি নতুন তাই অনেক প্রবাসী এটি বুঝতে পারছেন না। তিনি সঠিক নিয়মে সবাইকে ই-পাসপোর্টে আবেদন করার পরামর্শ দেন।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, যুগের চাহিদা ও উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা, বিশ্বের দরবারে জাতীয় অবস্থান ও পাসপোর্টের আধুনিকায়তনে মর্যাদাকে আরও সুসংহত করার লক্ষ্যে মিশনগুলোতে চালু করা হয়েছে ই-পাসপোর্ট সেবা। অনেক প্রবাসী দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন যে, তারা বিদেশের বিমানবন্দরগুলোতে হাতে লেখা পাসপোর্ট নিয়ে নানা সমস্যায় পড়ছেন। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ইমিগ্রেশনে তাদের সময় যাচ্ছে। তারই প্রেক্ষিতে বিদেশে চালু করা হয়েছে ই-পাসপোর্ট সেবা। সুজন নামে এক আমেরিকান প্রবাসী জানান, তিনি গত মাসের শেষ সপ্তাহে ই-পাসপোর্টর জন্য মিশনে আবেদন করতে যান। কিন্তু, সফ্‌টওয়্যারের সমস্যার কারণে আবেদন আর করেননি। পরে তিনি এমআরপিতে করেছেন। তার মতো একাধিক প্রবাসীও ই-পাসপোর্টের আবেদন করার উদ্যোগ থাকলেও নানা জটিলতায় তারা আবেদন করেছেন এমআরপি’র জন্য।