নভেম্বরের মাঝামাঝি ফের চালু হচ্ছে ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’

0

আকরামুজ্জামান ॥ নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বেনাপোল-ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন (বেনাপোল এক্সপ্রেস) ফের চালু হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের রেল যোগাযোগে ২০১৯ সালের ১৭ জুলাই বিরতিহীন এ ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ সংযোজন হয়। এরপর থেকে যাত্রীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে আন্তঃনগর এ ট্রেনটি। তবে করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকা দেশের সকল ট্রেন চলাচল শুরু হলেও বেনাপোল এক্সপ্রেসটি এখনও চালুর অনুমোদন দেয়নি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় যাত্রীদের সুবিধার্থে ট্রেনটি ফের চালুর সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছে বলে রেলওয়ের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) মিহির কান্তি গুহ বলেন, দেশে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও নানা কারণে বেনাপোল-ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা সম্ভব হয়নি। যেকারণে ট্রেন এতদিন ফেলে রাখার কারণে বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সৈয়দপুরের লোকোশেডে ট্রেনটি মেরামতের জন্য রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস আগামী নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আমরা ট্রেনটি ফের চালু করতে পারবো। এ বিষয়ে রেলওয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারাও উদ্যোগ নিচ্ছেন। দ্রুত ট্রেনটি মেরামত করে উপযোগী করারও তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ফলে খুব শিগগিরই ট্রেনটি চালু হবে বলে আমরা আশা করছি।
জানতে চাইলে বেনাপোল স্টেশন মাস্টার মো. সাইদুজ্জামান বলেন, করোনার কারণে ট্রেনটি দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে চলেছে। যেকারণে দেশের অধিকাংশ স্থানেই ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। কিন্তু বেনাপোল এক্সপ্রেসটি এখনও চালুর নির্দেশনা আসেনি। তিনি বলেন, ট্রেনটির চারটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো মেরামত করার জন্য ওয়ার্কশপে রাখা হয়েছে। এটি মেরামত হলেই ট্রেনটি চালুর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে বলে আশা করছি। তবে এ বিষয়টি পুরোপুরিই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে বলে তিনি জানান।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনটি বন্ধ থাকার কারণে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রীকে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। এসব যাত্রীর বিভিন্ন পরিবহন বাসে চেপে ঢাকায় যেতে হয়। এতে ১২/১৪ ঘন্টা সময় অতিক্রম করে তাদের গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। এ অবস্থায় ভুক্তভোগী যাত্রীরা দ্রুত বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর দাবি জানিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বেনাপোল ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরাও বেশ তৎপর হয়ে উঠেছেন। বেনাপোল কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, বৈশ্বিক করোনার কারণে এতদিন আমাদের জীবন-যাত্রা থমকে ছিলো। আল্লাহর রহমতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। বেনাপোল বন্দর আবার সরব হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় ট্রেনটি চালু হলে এ অঞ্চলের মানুষের পাশাপাশি প্রতিদিন বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবেন। এজন্য তিনি দ্রুত ট্রেনটি চালুর জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি রাখেন। ২০১৭ সালে ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেন চালুর পর ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ সহজ হয়ে ওঠে। বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ভারতের পাসপের্টিধারী যাত্রীদের কাছে এটি আরামদায়ক ট্রেনে রূপান্তর নেয়।