করোনার চিকিৎসায় ক্যাপসুল নিয়ে কাড়াকাড়ি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ করোনার টিকা সংগ্রহের ব্যাপারে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অনেক দেশই ধীরগতি নীতি অনুসরণ করেছিল। তবে এবার তারা সেই ভুল করতে যাচ্ছেন না। করোনা চিকিৎসার নতুন অস্ত্র হিসেবে বাজারে আসতে যাওয়া অ্যান্টিভাইরাল পিল কিনতে দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে এই দেশগুলো। অবশ্য এই ওষুধটি এখনও যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন পায়নি। মলনুপিরাভির নামের এই ওষুধটি উৎপাদন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি মার্ক। একে করোনা মহামারি মোকাবিলায় ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে, বিশেষ করে যারা টিকা পেতে সমর্থ হয়নি তাদের বেলায়। সিএনএন জানিয়েছে, ওষুধটির জরুরি ব্যবহারের জন্য এখনও ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন পায়নি মার্ক। অনুমোদন পেলে এটি হবে করোনার সংক্রমণ চিকিৎসার প্রথম ক্যাপসুল।
তথ্য বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান এয়ারফিনিটি জানিয়েছে, ইতোমধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আটটি দেশ মলনুপিরাভির কেনার চুক্তি করেছে বা এ ব্যাপারে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এসব দেশের মধ্যে নিউ জিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পিলটি করোনা চিকিৎসায় আশাব্যঞ্জক। তবে আশঙ্কা রয়েছে, অনেকে টিকার বিকল্প হিসেবে এই ওষুধটি ব্যবহার করতে পারে। অথচ এখনও পর্যন্ত করোনা মোকাবিলায় টিকাই সবচেয়ে ভালো সুরক্ষা ব্যবস্থা। অলাভজনক সংস্থা ড্রাগস ফর নেগলেক্টেড ডিজিজ ইনিশিয়েটিভের উত্তর আমেরিকা অঞ্চলের পরিচালক র‌্যাচেল কোহেন বলেন, ‘(মলনুপিরাভির) সত্যিকারার্থে সম্ভাবনাময়…গেম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সম্ভাবনাময়। আমরা যেন ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি না করি তা নিশ্চিত করতে হবে…করোনার টিকার ক্ষেত্রে যে ভুল হতে দেখেছি সেই একই ভুল বা একই ধাঁচের ভুলের মধ্যে যেন না পড়ি তা নিশ্চিত করতে হবে।’ সিএনএন জানিয়েছে, রোগীকে হাসপাতালে না নিয়েই করোনা চিকিৎসায় মলনুপিরাভির ব্যবহার করা যাবে। রোগীকে দিনে দুবার ২০০ মিলিগ্রামের চারটি ক্যাপসুল সেবন করতে হবে। মোট পাঁচ দিনে রোগীকে সেবন করতে হবে ৪০টি ক্যাপসুল। টিকার মতোই ক্যাপসুলটি ভাইরাসের বিস্তার বন্ধ করে দেয়।