কেশবপুরের মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে বাদপড়া ৪১ জনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছায়ে বাদ পড়া যশোরের কেশবপুরের ৪১ ব্যক্তি ফের তালিকায় আসতে জালিয়াতির আশ্রয় নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘কেশবপুরের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা’ ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পেশ করেন, কেশবপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার মোহাম্মাদ আলী। সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৭১ তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ৩০ জানুয়ারি বেসামরিক গেজেটকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাচাই অনুষ্ঠিত হয়। যাচাই-বাছায়ে কেশবপুর উপজেলার ৫৯ জন তালিকাভূক্ত থাকলেও মাত্র ১২ জন মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত হন। বাকি ৩৭ জন অনুপস্থিত থাকেন। এসময় উপস্থিত ১২ জনের মধ্যে ৪ জন ও অনুপস্থিত ৩৭ জনসহ মোট ৪১ জনের আবেদন নামঞ্জুর হয়। তবে পরবর্তীতে নামঞ্জুরকৃতদের আইন মেনে আপিলের সুযোগ দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগে বলা হয়, নামঞ্জুরকৃতদের আপিলের এ সুযোগ পাওয়ায় এখন তারা নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। বিশেষ করে তাদের আপিল আবেদনের সাথে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের জাল স্বাক্ষর করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে উপজেলার চারজন মুক্তিযোদ্ধা তাদের স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ এনে আদালতে এফিডিফেট করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ আলী বলেন, নামঞ্জুরকৃত ওই ৪১ জনের কেউই মুক্তিযোদ্ধা নয়। বরং তাদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরোধিতা ও নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ রয়েছে। এজন্য এসব সুচতুর ব্যক্তিরা যাতে কোনোভাবেই মুক্তিযোদ্ধায় তালিকায় আসতে না পারে সেজন্য জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের কর্তৃপক্ষকে সচেতন হওয়ার আহবান জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে কেশবপুরের বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।