সরকারের ‘মিথ্যাচারের’ প্রতিবাদ বিএনপির

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ মুক্তিযুদ্ধ, ৭৫-এর পটপরিবর্তন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও তার সমাধি সম্পর্কে সরকারের ‘লাগাতার মিথ্যাচারের’ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। শনিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির নিয়মিত ভার্চুয়াল সভায় এ নিন্দা জানানো হয়। রোববার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান। সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বলেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করার লক্ষ্যে সরকার সংসদে অবৈধ ও মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করছে। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনকে দৃষ্টির আড়ালে রাখার একটি ষড়যন্ত্র করছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সভার সদস্যরা মনে করেন যে ইতিহাস বিকৃত করে জনগণের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের বিরুদ্ধে এ ধরনের বিকৃত অপপ্রচার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে চক্রান্ত ব্যতিত কিছু নয়। দলের স্থায়ী কমিটির সভায় এই ধরনের ‘নিকৃষ্ট মিথ্যাচার’ থেকে সরকারকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, স্থায়ী কমিটির সভায় সরকারি ওয়েব সাইটে প্রস্তাবিত ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইনের খসড়া প্রকাশে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভা মনে করে, এই ধরনের আইন ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার কথা বলে নাগরিকের স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকার হরণ করবার আরেকটি চক্রান্ত। এই আইন গণতন্ত্রের জন্য একটি বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। সভায় জনগণের ব্যক্তিগত অধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানানো হয়। মির্জা ফখরুল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, স্থায়ী কমিটির সভা থেকে সংসদে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রাখার জন্য প্রণীত বিশেষ আইনের মেয়াদ আরো পাঁচ বছর বাড়িয়ে বিল পাস করানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। তিনি বলেন, ‘সভা মনে করে, ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো স্থাপন করা হয়েছিল শুধুমাত্র আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর লুণ্ঠনের স্বার্থে। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সকল কর্মকাণ্ডকে ইনডেমিনিটি আইন পাস করে দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছিল এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন না করলেও ভাড়া প্রদানের ফলে জনগণের ট্যাক্সের টাকার বিশাল অংশ আওয়ামী দুর্নীতিবাজদের পকেটে গেছে।’ সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সভা আরো মনে করে যে প্রতি বছর কয়েক দফা বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে জনগণের ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি করা হয়েছে। নতুন করে পাঁচ বছর এই বিশেষ আইনের মেয়াদ বাড়িয়ে লুঠপাটের ব্যবস্থা আরো দীর্ঘায়িত করা হলো। সভায় অবিলম্বে এই বিল বাতিল করার আহ্বান জানানো হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।