আন্তর্জাতিক সংবাদ

0

৬ বন্দীর পলায়নের পর ইসরাইলের কারাগারগুলোতে দাঙ্গা
লোকসমাজ ডেস্ক॥ ইসরাইলের একটি কারাগার থেকে ছয় ফিলিস্তিনি বন্দী পালিয়ে যাওয়ার পর দেশটির বিভিন্ন কারাগারে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে। ওই দাঙ্গা ইসরাইলি কারাগারে সীমিত না থেকে পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুসালেমসহ বিভিন্ন স্থানেও ছড়িয়ে পড়ছে। গত সোমবার ইসরাইলের গিলবোয়া কারাগার থেকে ওই ছয় বন্দী সুড়ঙ্গপথে পালিয়ে যায়। এদের পাঁচজনই ছিলেন ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের (পিআইসি) সদস্য। এর জের ধরে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী কড়াকড়ি আরোপ করলে ইসরাইলি কারাগারগুলোতে আটক বন্দীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। জেরুসালেম পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, বুধবার কেটজিয়ট, র‌্যামন ও ওফারের কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দীরা দাঙ্গা ও অগ্নিসংযোগ করে। এর আগে প্রিজন সার্ভিস কমিশনার ক্যাটি পেরি বন্দীদের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেন, ৪০০ বন্দীকে সরিয়ে নেন। নতুন বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে, পিআইসি সদস্যদের এক কক্ষে একজনের বেশি না রাখা। দাঙ্গা ও অগ্নিসংযোগ নিয়ন্ত্রণে এলেও ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ আরো সহিংসতার আশঙ্কা করছে। এদিকে পালিয়ে যাওয়া বন্দীদের খুঁজে বের করতে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইসরাইল। সাতটি কোম্পানি, দুটি ব্রিগেড, তিনটি ব্যাটালিয়নের সেনাসদস্য, পুলিশ, শিন বেত, সীমান্ত পুলিশ তল্লাসি অভিযান পরিচালনা করছে। এছাড়া বিশেষ বাহিনীর সদস্যরাও অনুসন্ধানে অংশ নিচ্ছে। এদিকে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেমসহ বিভিন্ন স্থানে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সাথে দাঙ্গায় লিপ্ত হয় ফিলিস্তিনিরা। এছাড়া গাজাসহ বিভিন্ন স্থানে সংহতিমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ফিলিস্তিনি গ্রুপগুলো পলাতকদের অনুসন্ধানে নিয়োজিত ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যদের প্রতিরোধ করার আহ্বান জানিয়েছে। প্রায় ৫০০ ফিলিস্তিনি বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভে অংশ নেয় বলে জানা গেছে। রামাল্লায় দাঙ্গার সময় ইসরাইলি বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়া হয় বলে খবরে প্রকাশ। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি বলে জানা গেছে। ইসরাইলি বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে।

ত্রিপুরায় সিপিএম অফিসে তাণ্ডব
লোকসমাজ ডেস্ক॥ ত্রিপুরায় সিপিএমের কয়েকটি কার্যালয়ে ক্ষমতাসীন বিজেপির অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বুধবার কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয় রাজ্যের রাজধানী আগরতলা। সোমবার ধনপুরে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষের পর বুধবার প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। ওই মিছিল থেকেই সিপিএম কার্যালয়ে তাণ্ডব চালানো হয়। সিপিএমের অভিযোগ, ভানু স্মৃতি ভবন, দশরথ ভবনসহ একাধিক দলীয় কার্যালয় এবং বেশকিছু গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। বিশালগড়ে সিপিএম পার্টি অফিসের গেট প্রথমে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়, তার পর ভেতরে ঢুকে আগুন দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, পাশেই সিপিএমের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পার্থপ্রতিম মজুমদারের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। এছাড়াও আগরতলায় সংবাদমাধ্যমের অফিসেও হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার। এদিকে বিজেপির অভিযোগ, বামেদের কার্যালয় থেকেই প্রথমে বোমা ছোড়া হয়। ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। একজন বিজেপি কর্মী জখমও হন। তারই প্রতিবাদে আছড়ে পড়ে জনরোষ। বিজেপি নেতৃত্ব বলেছেন, আমরা হিংসায় বিশ্বাস করি না। তবে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙলে কী পরিণতি হয় তার ট্রেলার সকলেই দেখলেন। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকারের শাসন চলছে ত্রিপুরায়। আমাদের একের পর এক পার্টি অফিস জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেক গাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে। আজকের ঘটনা কোনো স্বতঃস্ফূর্ত বিষয় নয়। আজ সকাল থেকেই ঘোষণা করে পরিকল্পনা মাফিক এই আক্রমণ করা হয়েছে।’ ত্রিপুরা বিজেপি সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে, ‘রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বিরোধী দলনেতা নিজে উপস্থিত থেকে সন্ত্রাসে প্ররোচনা দিচ্ছেন। হিংসা ছড়াতে ইন্ধন দেওয়া হচ্ছে দলীয় কর্মীদের। আমরা আমাদের কর্মীদের বারবার শান্ত থাকার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু এখন সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে।’ এদিকে ত্রিপুরায় একাধিক সংবাদমাধ্যমের ওপরে হামলার ঘটনায় সেখানকার বিজেপি শাসকের সঙ্গে জার্মান একনায়ক অ্যাডলফ হিটলারের আমলের তুলনা করেছে তৃণমূল। ত্রিপুরা থেকে বিজেপি সরকারের উৎখাতে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

উত্তর মেসেডোনিয়া করোনা হাসপাতালে আগুনে নিহত ১০
লোকসমাজ ডেস্ক॥ উত্তর মেসেডোনিয়ার টেটোভা শহরের একটি করোনা হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছে বিবিসি। স্থানীয় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শেয়ার হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, শহরের একটি প্রধান সড়কের কাছে একটি ভবন দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। আশপাশের এলাকা ঘন কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভেঙ্কো ফিলিপচে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বেশ কিছু রোগীকে উদ্ধার করে রাজধানী স্কোপয়ের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে ‘ভয়াবহ একটি দুর্ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তবে এ সম্পর্কে আর কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি তিনি। হাসপাতালটিতে কত রোগীর চিকিৎসা চলছিল, সেটিও স্পষ্ট নয়। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত জটিল লক্ষণযুক্ত রোগীদের জন্য গত বছরই হাসপাতালটি নির্মাণ করা হয়। প্রায় ২০ লাখ মানুষের দেশ উত্তর মেসেডোনিয়ায় ১ লাখ ৮০ হাজার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বলছে।