আন্তর্জাতিক সংবাদ

0

হিন্দু-মুসলিমদের পূর্বপুরুষ এক, প্রত্যেক ভারতীয়ই হিন্দু-আরএসএস প্রধান
লোকসমাজ ডেস্ক॥ ভারতের হিন্দু-মুসলিমদের পূর্বপুরুষ এক দাবি করে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ-আরএসএসের প্রধান মোহন ভাগবত বলেছেন, প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকই হিন্দু। সোমবার মুম্বাইয়ে মুসলিম বিশিষ্টজনদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তৃতায় এমন এ কথা বলেন তিনি। খবর: আনন্দবাজার। মোহন ভাগবত বলেন, ইসলাম ধর্ম এসেছিল আক্রমণকারীদের সঙ্গে। এটাই ইতিহাস। বিষয়টিকে এ ভাবেই ব্যাখ্যা করা ভালো। বক্তৃতায় হিন্দু-মুসলমান সমাজের মধ্যে ঐক্য সাধন ও কট্টরপন্থী মুসলিম বিচারধারার বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষিত মুসলমান সমাজকে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি। মুম্বাইয়ে ‘রাষ্ট্র প্রথম-রাষ্ট্র সর্বোপরি’ শীর্ষক ওই আলোচনায় মুখ্য বক্তা ছিলেন ক্ষমতাসীন বিজেপির মূল সংগঠন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএস প্রধান। এতে উপস্থিত ছিলেন কেরালার রাজ্যপাল আরিফ মুহাম্মাদ খান, কাশ্মীর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তথা সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল সৈয়দ আতা হুসেনের মতো বিশিষ্টজনরা। দেশের হিন্দু-মুসলমানদের পূর্বপুরুষ এক এবং প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকই হিন্দু- এর ব্যাখ্যায় ভাগবত বলেন, হিন্দু শব্দ মাতৃভূমি, আমাদের পূর্বপুরুষ ও ভারতের গৌরবময় সংস্কৃতির অঙ্গ। সেই দিক থেকে আমি সব ভারতবাসীকেই হিন্দু হিসেবে মনে করি। তিনি বলেন, হিন্দুরা কারও সঙ্গে শত্রুতা করে না। সকলের ভালো চায়। এখানে ভিন্নমতের অনাদর হয় না। ইসলাম আক্রমণকারীদের সঙ্গে এসেছিল। একে এভাবেই দেখা উচিত। অতীতেও মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে আরএসএস প্রধান দাবি করেছিলেন, ভারতের হিন্দু ও মুসলমানদের ডিএনএ একই। ওই সময়ে তার মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক হয়েছিল।

বলিভিয়ায় বাস দুর্ঘটনায় নিহত ২৩
লোকসমাজ ডেস্ক॥ বলিভিয়ার মধ্যাঞ্চলে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড় থেকে নিচে পড়ে গিয়ে কমপক্ষে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে তিন শিশু রয়েছে। কোচাবাম্মা রাজ্যে সোমবার এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। খবর: বাসস। তারা জানান, বাসটি ৩৩ যাত্রী নিয়ে পাহাড় থেকে ৪০০ মিটার নিচে পড়ে যায়। দুর্ঘটনায় চালকের স্ত্রীও নিহত হন। চালক বলেন, ‘আমি ব্রেকে চাপ দিলাম। কিন্তু ব্রেক কাজ করছিল না।’ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ১৩ জন। তাদের নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

‘বৌদ্ধ বিন লাদেন’কে মুক্তি দিল মিয়ানমারের সেনা সরকার
লোকসমাজ ডেস্ক॥ বিতর্কিত বৌদ্ধ ভিক্ষু আশ্বিন উইরাথুকে মুক্তি দিয়েছে মিয়ানমারের সেনা সরকার। জাতীয়বাদী ও মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য দেওয়ার জন্য কুখ্যাত এই বৌদ্ধ ভিক্ষু। এর আগে, তার ওপর বেসামরিক সরকারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছিল। গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এক অভ্যুত্থানে ওই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। বিতর্কিত বক্তব্যে জনতাকে সহজে উত্তেজিত করার পাশাপাশি সামরিকপন্থী দৃষ্টিকোণের জন্য পরিচিত উইরাথু। ওসামা বিন লাদেনের নামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিজেকে তিনি ‘বৌদ্ধ বিন লাদেন’ বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। মুসলিমদের লক্ষ্য করে, বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে এই বৌদ্ধ ভিক্ষুর বিরুদ্ধে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, উইরাথু সামরিকপন্থী সমাবেশে জাতীয়তাবাদী বক্তৃতা দেন এবং অং সান সু চি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি সরকারের সমালোচনা করতে দেখা যায় তাকে। ২০১৯ সালে বেসামরিক সরকারের বিরুদ্ধে ‘ঘৃণা ও অবমাননা’ উসকে দেওয়ার অভিযোগ উঠে উইরাথুর বিরুদ্ধে। এরপর গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি পালিয়ে যান। তবে গত বছরের নভেম্বরে কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করেন এই বৌদ্ধ ভিক্ষু। এরপর থেকে বিচারের অপেক্ষায় ছিলেন উইরাথু। সোমবার সেনাবাহিনী সরকার জানায়, তার বিরুদ্ধে আনীত সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে এই প্রত্যাহারের কোনো কারণ দেখায়নি জান্তারা। আরও জানানো হয়, উইরাথু এক সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা চাইছেন। তবে এই বৌদ্ধ ভিক্ষুর শারীরিক অবস্থা কেমন তা জানা যায়নি।