জীবননগরে লাইচ্যুত হওয়ার ১২ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

0

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা ॥ চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ১২ ঘণ্টা পর সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ শুরু হয়েছে। তেলবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের পরিবহন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, পাকশী বিভাগীয় সংকেত প্রকৌশলী রাজিব বিল্লাহ, পাকশী বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) আশিশ কুমার মন্ডল, পাকশী বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ) মমতাজুল ইসলাম ও পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী (১) বিরবল মন্ডল। তদন্ত কমিটির প্রধান পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের পরিবহন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এক সপ্তাহের মধ্যে এ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে। সেই মোতাবেক আমরা কাজ শুরু করবো।’
উল্লেখ্য, রবিবার রাত পৌনে ১টার দিকে জীবননগর উপজেলার উথলী স্টেশনের সামনে লুপ লাইন থেকে প্রধান লাইনে যাওয়ার সময় চারটি বগিগু লাইনচ্যুত হয়। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঈশ্বরদী থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। এ ঘটনার পর উথলী রেলওয়ে স্টেশনের পার্শ্ববর্তী দর্শনা, আনছারবাড়ীয়া এবং সাবদালপুর স্টেশনে চারটি যাত্রীবাহী ট্রেন আটকে পড়েছিল। উথলী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আলী জানান, খুলনা থেকে নাটোরের উদ্দ্যেশে ছেড়ে আসা ৩০টি বগি নিয়ে তেলবাহী ট্রেনটি রাতে উথলী রেলওয়ে স্টেশনে আসে। ক্রসিংয়ের জন্য ট্রেনটি ২ নম্বর লাইনে নেওয়া হয়। ক্রসিং শেষে ট্রেনটি ২ নম্বর লাইন থেকে ১ নম্বর লাইনে ঢোকার সময় ১৪/১৫ নম্বর পয়েন্ট অতিক্রম করার মুহূর্তে চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ কারণে এই লাইনে রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তিনি আরও জানান, এ ঘটনার পর ঈশ্বরদী থেকে এদিন সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে এসে কাজ শুরু করে। বেলা ১২ টার দিকে পুনরায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।