যশোরে করোনা সংক্রমন কমলেও শুরু হয়েছে ডায়রিয়া ডেঙ্গুর প্রকোপ

0

বিএম আসাদ ॥ যশোরে করোনা সংক্রমণের হার কমলেও ডায়রিয়া ও ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ শুরু হয়েছে। গত ১০ দিনে এ জেলায় প্রায় ৩শ জন ডায়রিয়ায় ও ৫ জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ৪ জন চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছাড়লেও জাহিদ হাসান (২৮) নামে ওষুধ কোম্পানীর এক কর্মকর্তা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ২৩ আগস্ট দুপুরে ১২টার দিকে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার রক্তের প্রেটিলেট ১ লাখ ৪৬ হাজার। জাহিদ হাসান যশোরের মনিরামপুর উপজেলার মধুপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের পুত্র। তিনি ওষুধ কোম্পানী বায়োফার্মার মার্কেটিং-এর এমপিও পদে চাকরি করেন। ঢাকা বা অন্য কোথাও না গিয়ে নিজ বাড়িতেই প্রচন্ড জ্বরে আক্রান্ত হন তিনি। ৪ দিন জ্বরে ভোগার পর গত সোমবার হাসপাতালে ভর্তি হন। প্যাথলজি পরীক্ষায় তার শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাস ধরা পড়ে। ডেঙ্গু ভাইরাস বহনকারী এক প্রজাতির স্ত্রী মশায় কামড়ালে মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। এ নিয়ে যশোরে চলতি বছর ৩৪ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলেন। ডেঙ্গু জ্বরের পাশাপাশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন ডায়রিয়া রোগে। এটিও সংক্রামক রোগ। গত ২৪ ঘন্টায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। ১০ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩শ জন। জুলাই মাসে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ১শ ৪০ জন। ডায়রিয়ায় কারো মৃত্যু হয়নি। চলতি বছরের ৮ মাসে ডায়রিয়ার মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ২শ ১ জন। ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব বৃদ্ধি পেলে মানুষ ডায়রিয়া আক্রান্ত হন। এসব সংক্রামক রোগের পাশাপাশি গত বছরের এপ্রিল থেকে যশোরে ব্যাপকহারে প্রভাব ফেলেছে বিশ্বে সাড়া জাগানো মহামারি করোনা ভাইরাস। ব্যাপকহারে সংক্রমিত হয়েছেন যশোরের মানুষ। গত ২৪ ঘন্টায় যশোরে নতুন করে আরো ২৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। এনিয়ে যশোরে সর্বমোট ২০ হাজার ৯শ ২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনায় এ জেলায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৪শ ৪৭ জন। ফলে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার পূর্তির দিকে। মৃত্যুর সংখ্যাও পূর্তির দিকে সাড়ে ৪শ জনে। তবে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার গত কয়েকদিন ধরে কম থাকায় মানুষের মনে কিছুটা স্বস্তির বাতাস বইছে। কিন্তু সংক্রামক রোগের ভয় করছে না। এ ব্যাপারে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণের হার কিছুটা কমেছে। তবে ডেঙ্গু ও ডায়রিয়া রোগে মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এ ব্যাপারে সতর্কতার সাথে চিকিৎসক সেবিকাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে। জনসাধারণকে তিনি সংক্রামক রোগের ব্যাপারে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।