চৌগাছায় হাত-পা বাধা মুখে টেপ জড়ানো ট্রাকচালক উদ্ধার

0

এম এ রহিম চৌগাছা (যশোর)॥ যশোরের চৌগাছায় হাত-পা বাধা মুখে টেপ জড়ানো বাবলুর রহমান (৩৫) নামে এক আহত ট্রাক চালককে উদ্ধার করেন স্থানীয় জনতা। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পৌর শহরের কুঠিপাড়া মোড় নামক স্থানে। অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চৌগাছা সরকারি মডেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে জ্ঞান ফিরলে তার পরিচয় জানা যায়। তিনি উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে। বাবলুকে উদ্ধারকারী ট্রাক থেকে বালু নামানো শ্রমিক ওসমান গণি জানান, সকাল ৬টার দিকে বালু নামাতে শহরের কুঠিপাড়া মোড়ে গেলে রাস্তায় রাখা ট্রাকে তাকে পাচ্ছিলাম না। এসময় পাশেই তাঁর গোঙানী শুনি। কাছে গিয়ে দেখি চোখে স্কচ টেপ মারা, মুখে গামছার কাপড় গুজে দেয়া, হাত ও পা গামছা দিয়ে বাধা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আমরা কয়েকজন দ্রুত তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করি। তিনি জানান, তবে তার কোন কিছু খোয়া যায়নি বলে জানিয়েছিলেন। পরে তার ভাই এসে তার দায়িত্ব নিলে আমরা কাজে চলে আসি।
আহত ট্রাক চালকের স্ত্রী মরিয়ম খাতুন বলেন, সকালে মোবাইলে খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় পায়। ডাক্তার বলেন তাকে যাশোর নিতে পারলে ভালো হয়। কিছু সময় থাকার পর তার জ্ঞান ফিরলে আমরা বাড়ীতে চলে আসি। তিনি গতকাল ট্রাক নিয়ে কুষ্টিয়াতে বালি আনতে গিয়েছিল। চৌগাছা সরকারি মডেল হাসপাতালের চিকিসৎক নাহিদ সিরাজ বলেন, আহত ব্যাক্তির জ্ঞান ফেরেনি তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরীক্ষা না করে কিছুই বলা যাচ্ছে না। তবে তার জ্ঞান ফিরতে আরো ৫/৬ ঘন্টা সময় লাগতে পারে। এ ব্যাপারে চৌগাছা পৌর প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান শাহিন বলেন, আমি সকালে মোড়ে এসে দেখি ( সিলেট-ট ০২-০১১২) একটি বালু বোঝায় ট্রাক দাড়িয়ে রয়েছে। লোকজন ছুটাছুটি করছে। জানতে চাইলে উচ্ছুক জনতা আমাকে জানান হাত-পা বাধা মুখে টেপ জড়ানো বাবলুর রহমান (৩৫) নামে এক আহত ট্রাক চালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খোজ খবর নিয়ে জানতে পারি তিনি উপজেলার ধুলিয়ানী ইউনিয়নের কাবিলপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে। আরো জানতে পারি তিনি ট্রাক ভাড়া মালিকের না দেওয়ার জন্য নিজেই এমন নাটক তৈরী করেছেন। এ ব্যাপারে চৌগাছা থানার মোবাইল ডিউটিরত এস আই এনামুল হক জানান খবর পেয়ে আমি হাসপাতালে যায়। সেখানে গিয়ে জানতে পারলাম আহত ট্রাক চালক কাউকে কিছু না বলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে চলে গেছে।