হিংসা ছেড়ে গণতন্ত্রের জন্য একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান সালামের

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আবদুস সালাম বলেছেন, ‘হিংসা বিদ্বেষের পথ ছেড়ে আসুন একটি টেকসই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য আমরা আগের মতো একসঙ্গে কাজ করি। জনগণের রায়ের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও আস্থা আছে।’ তার প্রশ্ন, ক্ষমতাসীনদের এতো ভয় কিসে? শনিবার (১৪ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ ভাসানী ভবন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র প্রথম সভায় এসব কথা বলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম। সভা সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।
সভাপতির বক্তব্যে আবদুস সালাম বলেন, ‘আমরা যখন সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলো পালনের উদ্যোগ নিচ্ছি এবং আমাদের দলকে তৃণমূল পর্যায় থেকে পুনর্গঠনের মতো সাংগঠনিক কর্মসূচি নিয়ে এগুচ্ছি তখন সরকার দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে নিত্য-নতুন মিথ্যা মামলায় আটক করছে, পুরনো মিথ্যা মামলায় চার্জ গঠন করে চার্জশীট প্রদান করছে।’ তার দাবি, ‘এই ধরণের অপকর্মের মূল লক্ষ্য হলো বিরোধী দলকে কোনোভাবেই সাংগঠনিক কাজ করতে না দেওয়া।’ সভায় কমিটির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু বলেন, ‘আহ্বায়ক কমিটির সকল নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপিকে মজবুত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে অবদান রাখবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী। বর্তমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসন রুখে দিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আন্দোলন সংগ্রামে সামনের কাতারে থাকতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।’ সভায় সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, তরিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, এম কে আনোয়ার, ভাইস চেয়ারম্যান ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র, ঢাকা মহানগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোসহ বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী সকল দলীয় নেতাকর্মী এবং মৃত্যুবরণকারী সকল মানুষের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী, ইউনুস মৃধা, মো. মোহন, মোশারফ হোসেন খোকন, আব্দুস সাত্তার, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ প্রমুখ।