চৌগাছা-মহেশপুর সড়কে ফাঁসতলা মোড় হতে ঝাউতলা পর্যন্ত বেহালদশা ॥ মেরামতের দাবি

0

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু চৌগাছা (যশোর) ॥ যশোরের চৌগাছায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পাকা সড়ক হঠাৎ করেই নষ্ট হতে বসেছে। ইতোমধ্যে ইট,খোয়া, পিচ উঠে সৃষ্টি হয়েছে গর্তের। বর্ষার এই সময়ে সড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে গেলে ভাঙনও বেড়ে যাবে, তাই অল্পতেই সড়কটি মেরামতের দাবি করেছেন সড়কটি ব্যবহারকারীসহ সংশ্লিষ্ঠ এলাকাবাসি।
উপজেলার যতগুলো সড়ক আছে তার মধ্যে অন্যতম একটি ব্যস্ত সড়ক হচ্ছে চৌগাছা-মহেশপুর সড়ক, যার দুরত্ব প্রায় ১৪ কিলোমিটার। সড়কটির ফাঁসতলা বাজার হতে মহেশপুর সীমানা পর্যন্ত (সরকারী হিসেবে দেড়শ মিটার বলা হলেও বাস্তবে বেশি) অধিকাংশ স্থানে ইট পাথর খোয়া উঠে সৃষ্টি হয়েছে গর্তের। বর্ষা মৌসুম শুরুতেই সড়কের ওই অংশতে সৃষ্টি হয় ছোট ছোট গর্তের, দিন যাওয়ার সাথেসাথে বাড়ছে গর্তের পরিধি। দীর্ঘ লকডাউনের কারনে সড়কে চলাচল নেই ভারী কোন যানবাহন, তারপরও ভাঙ্গন থেমে নেই। স্থানীয়রা জানান, সড়কটি নির্মানের সময় নিন্মমানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করায় এই পরিস্থির সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটির ভাঙ্গাস্থান গুলো দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়েছেন সড়কে চলাচলকারীসহ এলাকাবাসি।
সূত্র জানায়, অন্তত দেড়যুগ আগে চৌগাছা থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহি পরিবহন চলাচল শুরু হয়। শুরু থেকেই ঢাকার সকল পরিবহন চৌগাছা থেকে মহেশপুর হয়ে কালিগঞ্জ, ঝিনাইদাহ তারপর গন্তব্যে পৌছায়। দিন কিংবা মাস না বছরের পর বছর ধরে পরিবহনসহ চৌগাছার যাত্রীবাহি বাস ট্রাক ও ছোটখাটো যানবাহন নিয়মিত চলাচল করছে সড়কটি দিয়ে। শুধু তাইনা সড়কটি ভাল হওয়ায় সুদুর চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন উপজেলার রোগী বহনকারী এ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেটকার, মাইেক্রোবাস এই সড়ক দিয়ে যশোর জেলা সদরসহ বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত করে। সড়কটি অধিক গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় দিনের বেশির ভাগ সময়ই কোন না কোন বাহনের দখলে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম, শাহআলম, স্কুল শিক্ষক আইনাল হোসেন জানান, সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় পাশ্ববর্তী অন্তত তিন জেলার বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে। যানবাহনের চাপে সড়কটি দ্রুতই নষ্ট হতে বসেছে। ইজিবাইক চালক হারুন, নছিমন চালক ইব্রাহীমসহ ছোট যানবহানের চালকরা জানান, চৌগাছা থেকে ফাঁসতলা পর্যন্ত সড়কটি ভাল থাকলেও ফাঁসতলা বাজার পার হলেই পড়তে হচ্ছে সমস্যায়। বেশ ঝুকি নিয়ে ঝাউতলা বাজার পর্যন্ত যেতে হচ্ছে। বর্ষায় এই ভাঙ্গন আরও বেড়ে যাওয়ার শংকায় আছেন চালকরা।
বাস চালক রেজাউল ইসলাম, ফিরোজ কবির, ট্রাক চালক মাহাবুর রহমান জানান, এখন বর্ষাকাল তারপর চলছে লকডাউন সড়কে এমনিতেই যানবাহনের চাপ কম। এই সময়ে ভাঙ্গনের অবস্থা এমন হলে সড়কে যখন সব ধরনের যান চলাচল করবে তখন কি পরিস্থিতি হবে। তাই সড়কটি দ্রুতই মেরামতের দাবি করেন তারা। উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মুনছুর রহমান বলেন, প্রায় দেড়শ মিটার সড়কের অবস্থা খুব ভাল না বিষয়টি আমি জানি, কিন্তু এখন বর্ষা মৌসুম তাই কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না, বর্ষা শেষ হলে সড়কের ভাঙ্গা জায়গা মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হবে।