প্রভাবশালী কোম্পানির তালিকায় এগিয়েছে শাওমি

    0

    লোকসমাজ ডেস্ক॥ তৃতীয় বছরের মতো ফরচুন গ্লোবাল ৫০০ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট শাওমি। ২০২১ সালের তালিকায় ২০২০ সালের চেয়ে ৮৪ ধাপ এগিয়ে শাওমির অবস্থান ৩৩৮তম; যা ২০২০ সালে ছিল ৪২২তম। ফরচুন গ্লোবাল ৫০০ তালিকায় ইন্টারনেট ও রিটেইল ক্যাটাগরিতে ২০২১ সালের দ্রুততম প্রবৃদ্ধির কোম্পানি হিসেবে এ অবস্থান দখল করেছে শাওমি।
    শাওমির প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান ও সিইও লেই জুন বলেন, আমাদের অতীতের অর্জনের থেকে সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধিতেই আমার দৃষ্টি নিবদ্ধ। শাওমি এখনো তরুণ কিন্তু উচ্চাভিলাষী একটি প্রতিষ্ঠান।
    শাওমির আয়ের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২০ সালে শাওমি মোট আয় করেছে ২৪ হাজার ৫৯০ কোটি ইউয়ান। উচ্চ আয়ের মাধ্যমে তালিকায় এ উল্লম্ফন শাওমির। ২০২১ সালেও শাওমি দ্রুত প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে, এ সময় কোম্পানিটি অভাবনীয় প্রবৃদ্ধি করতে পেরেছে আয় ও মুনাফায়; যা প্রত্যাশিত আয়কে ছাড়িয়ে গেছে। ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে শাওমি আয় করেছে ৭ হাজার ৬৯০ কোটি ইউয়ান, যা বছরওয়ারি বেড়েছে ৫৪ দশমিক ৭ শতাংশ। কোম্পানিটির মুনাফা ১৬৩ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১০ কোটি ইউয়ান।ক্রমবর্ধমান এ প্রবৃদ্ধির অন্যতম কারণ হচ্ছে বাজারে হাই-এন্ড ক্যাটাগরির স্মার্টফোন, সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রুত প্রবৃদ্ধি এবং কোম্পানির নতুন রিটেইল ব্যবসার উন্নয়ন।
    শাওমির দাবি, তাদের মূল লক্ষ হলো উদ্ভাবনী প্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের মাঝে ভালো অভিজ্ঞতা তৈরি করা। এর মাধ্যমে শাওমির হাই-এন্ড ফোনের বাজার বিশেষ করে মি ১০ ও মি ১১ সিরিজ দিয়ে সেই অবস্থান আরো শক্তিশালী করতে পেরেছে। ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে চীনে ও বিশ্ববাজারে ৪০ লাখের বেশি স্মার্টফোন সরবরাহ করেছে শাওমি।
    শাওমির বৈশ্বিক সম্প্রসারণ প্রবৃদ্ধিকে আরো বাড়িয়েছে। গত ১৭ জুলাই বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যানালিস শাওমিকে বিশ্ববাজারে দ্বিতীয় ঘোষণা করেছে, এ সময় শাওমির সরবরাহ করা স্মার্টফোনের হিসাবে অ্যাপলকে পেছনে ফেলে, আর বাজার শেয়ার দখল করে ১৭ শতাংশ। আন্তর্জাতিক বাজার হিসেবে লাতিন আমেরিকায় বছরওয়ারি ৩০০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি করেছে, আফ্রিকার বাজারে প্রবৃদ্ধি করেছে ১৫০ শতাংশের বেশি। এছাড়া পূর্ব ইউরোপে ৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে শাওমি। বর্তমানে বিশ্বের ১০০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে প্রবেশ করেছে শাওমির স্মার্টফোন। এর মধ্যে কমপক্ষে ১২টি বাজারে শাওমি শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে, আর বাজারে শেয়ারের দিক থেকে ইউরোপে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। সর্বশেষ ১৫ প্রান্তিকে ভারতে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে শাওমি।
    নতুন রিটেইলের ক্ষেত্রে ২০২০ সাল থেকে শাওমির রিটেইল স্টোরগুলোর দ্রুত সম্প্রসারণ হয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত চীনে মি হোম স্টোরের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫০০-এর বেশি। এছাড়াও আন্তর্জাতিক বাজারে এক হাজারের বেশি শাওমি স্টোর রয়েছে। এর পাশাপাশি সারা বিশ্বেই শাওমির রিটেইল নেটওয়ার্ক খুব দ্রুত গড়ে তোলা হচ্ছে।
    শাওমি গবেষণা ও উন্নয়নসহ (আরঅ্যান্ডডি) বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে। প্রতিষ্ঠানটি আরঅ্যান্ডডি দলকে অনুপ্রাণিত করায় নিত্যনতুন প্রযুক্তি উপহার দিতে পারছে শাওমি গ্রাহকদের। এ কারণেই শাওমি স্মার্ট ফ্যাক্টরি প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু করতে পেরেছে। পরবর্তী দশকে শাওমি উৎপাদন শিল্পে নতুন চালিকাশক্তি হবে, শাওমির দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এ রকম আশা প্রকাশ করেন সিইও লেই জুন।