শার্শার সাতমাইলে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী-শ্বশুর পলাতক

0

আজিজুল ইসলাম, বাগআঁচড়া (যশোর) ॥ যশোরের শার্শা উপজেলায় লাবনী (২১) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার সাতমাইল গ্রামের হাজী পাড়ায়। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী, শ্বশুরসহ পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে গেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার মশ্মিমনগর ইউনিয়নের চাকলা কাঁঠালতলা গ্রামের সবুজ আলী গাজীর মেয়ে লাবনীর বিয়ে হয় শার্শা উপজেলার সাতমাইল এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে ইমামুল ইসলামের সাথে। দাম্পত্যজীবনে তাদের একটি পুত্র সন্তান আছে। পরবর্তীতে লাবনীর স্বামী পরকীয়া জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে প্রায়ই ইমামুল তার স্ত্রীকে মারধর করতো।
প্রতিবেশীর বরাত দিয়ে গৃহবধূর ভাই মো. সোহেল সাংবাদিকদের জানান, গত শুক্রবার রাতে ইমামুলের মোবাইল ফোনে স্থানীয় একটি মেয়ের সাথে প্রেমালাপের একটি অডিও রেকর্ডিং শুনতে পান লাবনী। স্বামীর কাছে পরকীয়ার বিষয় জানতে চাইলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্ত্রী লাবনীকে মারধর শুরু করেন ইমামুল। এ সময ইমামুলের বাবা শফিও তার সাথে যোগ দেন। এক পর্যায়ে লাবনী মারা যান। পরে সেটি আত্মহত্যা বলে রটাতে লাবনীর মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে যান তার স্বামী ও শ্বশুর। তারা এটা আত্মহত্যা বলে প্রচার করেন। খবর পেয়ে পুলিশ আসার আগেই ইমামুল ও তার পরিবারের সকলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
নিহত লাবনীর ভাই মো. সোহেল জানান, ইমামুল প্রায়ই তার বোনকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার দাবিতে মারধর করতো। লাবনী টাকা এনে তার স্বামীর হাতে দিলে তিনি মদ, গাঁজা ও পরকীয়ার পেছনে সব টাকা খরচ করতো। শুক্রবার রাতেও পরকীয়া নিয়ে তার বোনকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। শনিবার দুপরে লাবনীর ভাই মো. সোহেল শার্শা থানায় অভিযোগ দেন।
শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ বদরুল আলম খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, লাশের গলায় দাগ রয়েছে। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটি ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে বোঝা যাবে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।