ক্রেতার অভাবে পাইকগাছার তিন শতাধিক নার্সারি মালিক বিপাকে

0

এইচ.এম.শফিউল ইসলাম, কপিলমুনি (খুলনা) ॥ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি বিধিনিষেধে পরিবহন বন্ধ থাকায় পাইকগাছা উপজেলায় বিভিন্ গাছের চারা বেচাকেনায় ভাটা পড়েছে। উপজেলায় ছোট বড় মিলে তিন শতাধিক নার্সারি রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সারা বছরজুড়ে শ্রমিকরা নার্সরির খামারে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। চলতি বর্ষা মৌসুমে খুচরা ও পাইকারি সব ধরনের কলম চারা নার্সারিতে পরিচর্যার কাজ চলছে পুরোদমে। কপিলমুনির বিউটি ,সবুজ,দোলন চাঁপা নার্সরির মালিক রমজান আলী,বিল্লাল হোসেন বলেন, তাদেরসহ কয়েক হাজার হাজার শ্রমিকের ভরণপোষণ চলে নার্সারির কলম চারা গাছ বিক্রি করে। পরিবহন বন্ধ থাকায় দূরদূরান্ত থেকে গাছের চারা ক্রেতারা আসতে না পারায় তারা দুশ্চিস্তায় আছেন।
পাইকগাছা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন দেশে সবুজ বিপ্লব ঘটাতে বিভিন্ন জাতের নতুন গাছের চারা সংযোগ করা হচ্ছে নার্সারিতে। সেই সাথে নার্সারি মালিকদেরকে ভালো দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন তাদেরকে সরকারি ভাবে স্বল্প ঋণ দেয়া হলে বেশি বেশি করে নার্সারির বাগান করতে সক্ষম হবেন তারা। উপজেলা বন কর্মকর্তা প্রেম কুমার মন্ডল বলেন, আমরা প্রাকৃতিক জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা পেতে উপকূলবাসীকে বিভিন্ন গাছের চারা বিতরণ করছি। উপজেলা নির্বহাী অফিসার এ বি এম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, মানুষ এখন বুঝতে শিখেছে গাছের প্রয়োজনীতা। তাই ধনী গরিব সবাই মিলে গাছ লাগাতে বদ্ধপরিকর।