ব্যারিকেডও মানছেন না তারা

0

মোংলা সংবাদদাতা॥ মোড়ে মোড়ে পুলিশের তল্লাশি চৌকি। শহরজুড়ে কোস্ট গার্ডের টহল। আছে ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি বহরও। এসব দেখে আপাত দৃষ্টিতে মনে হবে, করোনা ঠেকাতে মোংলায় পূর্ণাঙ্গভাবে পালিত হচ্ছে কঠোর বিধিনিষেধ। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। সড়কে প্রশাসন পুরোদমে থাকলেও মানুষকে মানানো যাচ্ছে না বিধিনিষেধ। ফাঁকি, উপেক্ষা কিংবা অজুহাত দিয়ে মানুষ তার গন্তব্যে পাড়ি দিচ্ছেন। কর্ণপাত করছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কথায়। এ উপজেলায় দেওয়া দ্বিতীয় দফার কঠোর বিধিনিষেধের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার (০৮ জুন) সকালে মোংলা কলেজ মোড়ে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা যায়। সেখানে কর্তব্যরত মো. রুবেল নামের পুলিশের কনস্টেবল বলেন, দেখেন ভাই কী করবো? ভ্যান ও মোটরসাইকেল চালকদের এতো নিষেধ করি তারপরও তারা কথা শোনেন না।
মিনিট দশেক সেখানে অবস্থানের পর দেখা যায়, বাঁশের ব্যারিকেড তুলে বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে চলছে যানবাহন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকজনের ভিড়ও বাড়তে থাকে। বিধিনিষেধে কেন রাস্তায়? জানতে চাইলে ভ্যানচালক মো. আবুল কাশেম বলেন, তাহলে খাবো কী? একই কথা মোটরসাইকেল চালক আলমগীরেরও। এদিকে এ উপজেলায় করোনা সংক্রমণের হার দিন দিন বাড়ছে। করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় দুই দফায় ১৫ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে উপজেলা প্রশাসন। প্রথম ধাপের বিধিনিষেধ শেষ হয়েছে শনিবার (০৫ জুন)। রোববার থেকে দ্বিতীয় দফায় আরও ৭ দিনের বিধিনিষেধ কার্যকর হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার বলেন, গত ১০ দিনে বিধিনিষেধ অমান্যকারী ৫৫ জনকে অর্থদণ্ডসহ ৪৯টি মামলা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি কোস্ট গার্ড নামানো হয়েছে, শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে লোকজন ও যান চলাচল ঠেকাতে পুলিশের তল্লাশি চৌকি কাজ করছে। তবুও মানুষ মানছে না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, পুলিশ চেষ্টা করছে, দেখছি কী করা যায়। শহরে টহলরত কোস্ট গার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, বিধিনিষেধে আমরা সিভিল প্রশাসনকে সহায়তা করতে মাঠে আছি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, মোংলায় করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গত ২০ এপ্রিল থেকে আজ পর্যন্ত ৪১৭টি নমুনা পরীক্ষায় ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এ অবস্থায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে থাকার পরামর্শ দেন তিনি।