ঈদ বাজারে দাম বাড়লো সয়াবিন তেল ও মুরগির

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঈদকে সামনে রেখে যশোরের বাজারে বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে সয়াবিন তেল ও মুরগির দাম হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। তবে সবজির দাম এখনও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। গত শুক্রবার যশোরের বড়বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে সয়াবিন তেলের দাম প্রতি কেজিতে ২ টাকা বেড়েছে। খোলা সয়াবিন তেল প্রতি কেজি ১৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১৩৩ টাকা। খুচরা তেল ব্যবসায়ী রবি ব্যানার্জি আশঙ্কা ব্যক্ত করে বলেন, ঈদের আগে আরও সামান্য কিছু দাম বাড়তে পারে। রোজার প্রথম দিকে মুরগির দাম বেশ খানিকটা কম ছিল। বড়বাজারে দেশি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে ৪৮০ টাকা থেকে ৫শ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৪৫০ টাকা। খামারের সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ২২০ টাকা। লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ২শ থেকে ২১০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। মুরগি ব্যবসায়ী মিলন হোসেন জানান, ঈদ চলে এসেছে দ্বারপ্রান্তে, মানুষের চাহিদা আরও বেড়ে গেছে। এ কারণে বাজারে মুরগির দাম বেড়েছে। এদিকে বড়বাজার মাছ বাজারে তাজা ইলিশ মেলেনি। বিক্রি হচ্ছে কোল্ডস্টোরেজে রাখা ইলিশ। গতকাল বাজারে সাড়ে ৫শ থেকে ৬শ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৭শ টাকা দরে। দেড় কেজি ওজনের রুই মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ২২০ টাকা, দেড় কেজি ওজনের কাতল মাছ প্রতি কেজি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, ৫০ পিস কেজি পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, ২ পিস কেজি নাইলোটিকা মাছ ১২০ টাকা। বাজারে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও সবজির দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। বড়বাজার এইচ.এম. রোডের পাশের দোকানগুলোয় (কালীবাড়ী এলাকা) আলু প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা, রসুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, আদা দেশি ১৪০ টাকা, শুকনো মরিচ ২শ ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০ থেকে ৩০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, করোলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পটল ১০ থেকে ১৫ টাকা, কাঁচকলা ৩০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, কুমড়ো ২০ থেকে ২৫ টাকা, ইচড় ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বরবটি ৩০ থেকে ৪০ টাকা,লাউ প্রতি পিস ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।