চৌগাছায় ভূগর্ভের পানির স্তর নেমে যাওয়ায় মিলছে না টিউবওয়েল ও স্যালোতে পানি

0

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু, চৌগাছা (যশোর) ॥ চৌগাছায় ভূ-গর্ভের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় টিউবওয়েল ও স্যালো মেশিনে পানি উঠছে না। এ সময় বৃষ্টি না হলে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন এলাাকাবাসী।
উপজেলার পাশাপোল ইউনিয়নের পলুয়া গ্রাম। এই গ্রামের অধিকাংশ টিউবওয়েল এমনকি মাঠে ধান ও সবজি ক্ষেতে পানি দেওয়ার জন্য স্যালো মেশিনেও পানি ওঠা কমে গেছে। স্যালো মেশিনে পানি না ওঠায় চাষিরা সমতল ভূমি হতে কমপক্ষে ৫ থেকে ৭ ফুট গভীরে মেশিন স্থাপন করে পানি ওঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
সোমবার সরেজমিন দেখা যায়, কৃষক তার ফসলি জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য স্যালো মেশিন চালু করেছেন। কিন্তু পানির দেখা নেই। থেমে থেমে মেশিন চালু করেন আবার বন্ধ করেন। এক সময় কাক্সিক্ষত সেই পানির দেখা মেলে কিন্তু পরিমাণে খুবই কম। কৃষক শাহাদৎ হোসেন, কামারুল ইসলাম, মো. রনি, আশিকুর রহমান, নাজির হোসেন জানান, বিগত বছরগুলোতে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। এবছর যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তাতে করে খুব দ্রুতই বৃষ্টি না হলে হয়ত স্যালোতে পানি ওঠা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে। কৃষকরা আরও বলেন, প্রায় ২ মাস আগে থেকে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়, সে সময়ে মাটি খুঁড়ে স্যালো মেশিন ৫/৭ ফুট গভীরে নেওয়ার পর পানি উঠতে শুরু করে। কিন্তু বর্তমানে সেখান থেকেও কাক্সিক্ষত পানি পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে গ্রামটির অধিকাংশ বাড়ির টিউবওয়েল পানি শূন্য হয়ে পড়েছে। বর্ষা মেসৈুমে যে টিউবওয়েল থেকে এক চাপে জগ পরিপূর্ণ হতো, এখন সেই টিউবওয়েলে ১০ চাপ দিলেও জগ ভরছে না। গ্রামটির রমজান আলীর ছেলে নজিবর, গৃহবধূ সালমা খাতুন জানান, দিন যত যাচ্ছে ততই যেন খাবার পানিসহ পরিবারের প্রয়োজনীয় পানি দুঃসাধ্য হয়ে উঠছে।
সংশ্লিষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবাইদুল ইসলাম সবুজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রচন্ড গরম আর দিনের পর দিন বৃষ্টি না হওয়ায় পানির স্তর বেশ নিচে নেমে গেছে। ফলে টিউবওয়েল ও স্যালো মেশিনে কাক্সিক্ষত পানি মিলছে না, তবে বৃষ্টিপাত শুরু হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।