৪,২৫০ কোটি টাকার বাজেট সহায়তা চায় বাংলাদেশ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥করোনার প্রভাব মোকাবেলায় বাজেট সহায়তা হিসেবে ৫০ কোটি ডলার বা ৪ হাজার ২৫০ কোটি টাকার সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ। কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ আরো বেশি বৃদ্ধীকরণের লক্ষ্যে ছাত্রীদের জন্য প্রযুক্তিগত ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রকল্পে সহায়তার আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া পরিবেশগত উন্নয়ন ও সুরক্ষা নিশ্চিতকরণের পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন, পরিবহন, নদীকেন্দ্রিক পর্যটনের উন্নয়নে টেকসই পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো তৈরিসহ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতার জন্য বিশ্বব্যাংককে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের চলমান স্প্রিং মিটিং-২০২১-এ গত ৫ এপ্রিল রাতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ আহ্বান করেন। জানা গেছে, অর্থমন্ত্রীর এ আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাংকও এ বিষয়গুলো ইতিবাচকভাবে দেখা হবে বলে সভায় অভিমত ব্যক্ত করে।
অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ও বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শ্যেফারের নেতৃত্বে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের এ ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে অর্থমন্ত্রী, অর্থ সচিব ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। বিশ্বব্যাংকের পক্ষে হার্টউইগ শ্যেফার ও বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্ব্বন আলোচনায় অংশ নেন।
জানা গেছে, সভায় অর্থমন্ত্রী পরিবেশগত উন্নয়ন ও সুরক্ষা নিশ্চিতকরণের জন্য প্রস্তাবিত ইকোলজিক্যাল রিস্ট্রেরেশন সাপোর্ট টু রিভারস অ্যান্ড ক্যানালস অ্যারাউন্ড ঢাকা’ প্রকল্পে পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন, পরিবহন, নদীকেন্দ্রিক পর্যটনের উন্নয়নে টেকসই পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো তৈরিসহ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতার জন্য বিশ্বব্যাংককে অনুরোধ জানান।
অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। অর্থমন্ত্রী কভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের গৃহীত দ্রুত ও সময়োপযোগী বিভিন্ন উদ্যোগেরও প্রশংসা করেন। চলমান করোনা মহামারীজনিত কারণে দেশের ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমবাজার, আর্থিক ও সামাজিক খাত সচল রাখার লক্ষ্যে বর্তমান বিশ্বব্যাংকের একটি প্রকল্পের আওতায় সহযোগিতা ও কভিড-১৯ ভ্যাকসিনের জন্য ৫০ কোটি ডলার অর্থায়নের জন্যও তিনি বিশ্বব্যাংকের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
করোনা মহামারী পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থান তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারীর কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন কম-বেশি ভালো অবস্থানে রয়েছে। এ সংকটময় পরিস্থিতির ভয়াবহতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শুরুতেই অনুধাবন করতে পারেন। এজন্য তিনি দেশের সবধরনের অর্থনৈতিক স্তরের মানুষের জন্য একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েছেন। এ পর্যন্ত ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকার মোট ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার ব্যবস্থা করেছেন। এটি দেশের ইতিহাসে একটি বিরল সাহসী পদক্ষেপ। বাংলাদেশের সব নাগরিকের জন্য বিনা মূল্যে কভিড-১৯ টিকা প্রদানের কার্যক্রম শুরুর বিষয়টিও উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।