এসকে সুর ও শাহ আলম গ্রেপ্তার না হওয়ায় হাইকোর্টের বিস্ময়

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী শাহ আলমকে গ্রেপ্তার না করায় বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। এ সময় হাইকোর্ট বলেন, কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে মেহমানদারী করতে পারেন না। আপনারা পদক্ষেপ না নিলে আদেশ দিতে বাধ্য হব। সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দীন শামিমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ বিস্ময় প্রকাশ করে প্রশ্ন তোলেন । আদালতে এদিন দুদকের পক্ষে শুনানি করেন মো. খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তানজীব-উল আলম ও খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। শুনানির এক পর্যায়ে হাইকোর্ট বলেন, পিকে হালদার ইস্যুতে অনেককে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে।
১৬৪ ধারায় যাদের নাম এসেছে- শাহ আলম, এস কে শুর, পিকের বান্ধবী নাহিদা রুনাইকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না? দুদক তাদের গ্রেফতার না করলে আদালত তাদের গ্রেফতারের আদেশ দেবে। জবাবে দুদকের আইনজীবী বলেন, দুদকের চিঠির ভিত্তিতেই বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) তাদের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করেছে। তখন দুদকের আইনজীবীর কাছে প্রশ্ন রেখে আদালত বলেন, গ্রেপ্তার করছেন না কেন? আপনারা পদক্ষেপ না নিলে আদেশ দিতে বাধ্য হব। আগে তাদের ধরেন। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে মেহমানদারী করতে পারেন না। পি কে হালদার কাদের অবহেলায় পালালো সেটা আদালত বের করবে এবং কঠোর ব্যবস্থা নেবে । পিকে হালদার নিষেধাজ্ঞার পরও কিভাবে পালালো সেটা দুদককে লিখিত আকারে এবং যাদের নাম জবানবন্দিতে এসেছে তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিয়েছে সেটাও দুদককে জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট। এপ্রিলেই প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে বলে জানান আদালত। এর আগে গত ৫ জানুয়ারি প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা পাচার করার অভিযোগ নিয়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী ও সাবেক সচিব ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের চেয়ারম্যান এন আই খানসহ ২৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট।