যশোরে মাদক মামলায় দোষী সাব্যস্ত নারীকে ৬ শর্তে মুক্তি

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাদক মামলায় দোষী সাব্যস্ত আলিমন নেছা নামে এক নারী আসামিকে ৬ শর্তে মুক্তির আদেশ দিয়েছেন আদালত। তবে শর্ত ভঙ্গ করলে তাকে ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাসের সশ্রম কারাদন্ড ভোগ করতে হবে। রোববার যশোরের যুগ্ম দায়রা জজ ২য় আদলতের বিচারক শিমুল কুমার বিশ্বাস এই আদেশ প্রদান করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ভীমসেন দাস। মাদক মামলায় দোষী সাব্যস্ত আলিমন নেছা চৌগাছা উপজেলার চাঁন্দাপূর্বপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের স্ত্রী। আদালতের আদেশে তাকে দেয়া শর্তগুলো হচ্ছে, সমাজসেবা অধিদফতরের প্রবেশন অফিসারের নজরদারিতে থাকতে হবে। কোনো প্রকার অপরাধের সাথে জড়ানো যাবে না। তিনি সর্বত্র শান্তি বজায় রাখবেন এবং সকলের সাথে সদাচারণ করবেন। আদালত অথবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাকে কখনো তলব করলে শাস্তি ভোগ করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যথাস্থানে হাজির হবেন। কোনো প্রকার মাদক সেবন, বহন, সংরক্ষণ এবং সেবনকারী, বহনকারী ও হেফাজতকারীর সাথে মেলামেশা বা চলাফেরা করতে পারবেন না। আদালত কর্তৃক প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে থেকে নিজের বাসস্থান ও জীবন ধারণের উপায় সম্পর্কে অবহিত করবেন। এই সময়কালীন প্রবেশন অফিসারের লিখিত অনুমতি ব্যতিত নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে যেতে পারবেন না। একই আদেশে বলা হয়েছে, প্রবেশনের কোনো শর্ত ভঙ্গ করলে প্রবেশন চলাকালীন যে কোনো সময় আদালত কৃর্তক বাতিল হবে এবং আসামিকে কারাদ-ে দ-িত হয়ে কারাগারে অন্তরীণ থাকতে হবে। আদালত সূত্র জানায়, ২০০৮ সালের ১৬ জুন চৌগাছা উপজেলার চাঁন্দাপূর্বপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে আলিমন নেছা পাঁচ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক হন। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ হান্নান চৌগাছা থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় আসামি আলিমন নেছার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে হাইকোর্টের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী পুনর্বাসনের জন্য শর্ত সাপেক্ষে প্রবেশন অফিসারের নিয়ন্ত্রণে ৬ শর্তে তাকে প্রবেশনে মুক্তি প্রদানের আদেশ দেন বিচারক। উল্লেখ্য, এর আগে একই আদালতে পৃথক ৩টি মাদক মামলায় দোষী সাব্যস্ত ৪ নারীকে এ ধরনের রায় দেয়া হয়েছিলো।