যশোর পৌরসভা নির্বাচন : সর্বশেষ গুঞ্জন নিয়েও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে কোনো তথ্য নেই

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর পৌরসভার নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন নিয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে এখনও পর্যন্ত কোনো তথ্য আসেনি। সোমবার রাতে বেসরকারি দুটি টেলিভিশনের স্ক্রলে ৩১ মার্চ যশোর পৌরসভার স্থগিত হওয়া নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত বলে প্রচার করা হয়। এরপর থেকে গত দুইদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্বাচন নিয়ে নানা গুঞ্জন অব্যাহত রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কোনো সূত্র থেকেই সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নির্বাচন কমিশনের ৭৭ তম সভায় আগামী ১১ এপ্রিল যশোরের অভয়নগরের নওয়াপাড়া পৌরসভাসহ দেশের মোট ১১ টি পৌরসভার তফসিল ঘোষণা করা হয় গত রোববার। এর আগে সর্ব মহলে গুঞ্জণ ছিলো ১১ এপ্রিল ষষ্ঠ ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে যশোর পৌরসভার নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিনক্ষণ ঘোষণা করবেন নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন যশোর পৌরসভাকে বাদ রেখে নওয়াপাড়া পৌরসভার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। এদিকে নওয়াপাড়া পৌরসভার তফসিল ঘোষণার পরদিন সোমবার রাতে দেশের দুটি বেসরকারি টেলিভিশনের স্ক্রলে প্রচার হতে থাকে ৩১ মার্চ যশোর পৌরসভার নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী হায়দার গনি খান পলাশও বিষয়টি সত্য বলে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। ৩১ মার্চের নির্বাচনের এ গুঞ্জনের বিষয়ে সত্যতা যাচাইয়ে জেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করা হলে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত এ বিষয়ে তাদের কাছে কোনো খবর নেই বলে জানানো হয়। এ বিষয়ে জেলা রিটানিং অফিসার ও জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মো. হুমায়ুন কবীর জানান, যশোর পৌরসভার নির্বাচনের বিষয়ে তাদের কাছে এখনও পর্যন্ত কোনো খবর নেই। নির্বাচন কমিশনের পূর্বাদেশ অনুযায়ী এখনও স্থগিতাদেশ বহাল রয়েছে। এ বিষয়ে যতক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন থেকে কোনো নির্দেশনা না আসছে ততক্ষণ পূর্বের আদেশ অনুযায়ী নির্বাচন স্থগিত থাকবে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে ৩১ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে মর্মে খবর প্রচার হচ্ছে আপনি এ বিষয়ে কিছু জানেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে এমন খবর আমাদের কাছে আসেনি। আমরা এখন ১১ এপ্রিল যশোরের অভয়নগরের নওয়াপাড়া পৌরসভার নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পেয়েছি।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে অনুসন্ধান করে সেখানেও যশোর পৌরসভার নির্বাচনের বিষয়ে তথ্য সংযুক্ত হনে দেখা যায়নি। ষষ্ঠ ধাপের পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে পর্যবেক্ষক মোতায়েনের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও সেখানে এ বিষয়ে কোনো কিছুই উল্লেখ নেই। বরং যশোর পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে সেখানে পূর্বাদেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে বলে উল্লেখ করা রয়েছে। গত মাসের ২৮ ফেব্রুয়ারি যশোর পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিনক্ষণ চূড়ান্ত থাকলেও সীমানা সম্প্রসারণের পরও ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় উপশহর, রামনগর ও চাঁচড়া এলাকার তিনজন হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন করেন। যার শুনানি শেষে গত ৯ ফেব্রুয়ারি আদালত এই নির্বাচনের উপর তিন মাসের স্থগিত আদেশ দেন। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোটের স্থগিতাদেশের কপি যশোর নির্বাচন অফিসে আসে। যার ভিত্তিতে ওই দিন বিকালে নির্বাচনী কার্যাক্রম স্থগিত করে যশোর নির্বাচন অফিস। তবে এর আগে দুপুরে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। আর ২২ ফেব্রুয়ারি চেম্বার আদালতের আদেশ বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এমন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি যশোরে এসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মার্চের মাঝামাঝিতে যশোর পৌরসভা নির্বাচন করা হতে পারে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন।