চৌগাছায় ভাইরাস আতঙ্কে পাঁচ হেক্টর জমিতে গমের চাষ কম

0

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু, চৌগাছা (যশোর) ॥ চৌগাছায় গত বছরের তুলনায় ৫ হেক্টর কম জমিতে গম চাষ হয়েছে। ভাইরাস আতঙ্কে গম চাষ কম হয়েছে বলে জানা গেছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৮৫ হেক্টর জমিতে নানা জাতের গম চাষ হয়েছে। গত বছর চাষ হয়েছিল ১৯০ হেক্টর জমিতে। গত কযেক বছরে গমে ভাইরাস লাগার কারণে কৃষক ক্ষতির সম্মুখীন হন। যার কারণে উপজেলার বহু কৃষক গম চাষ করার পরিবর্তে ওই জমিতে ধানসহ নানা ধরনের ফসলের চাষ করেছেন। উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নে ২০ হেক্টর, স্বরুপদাহ ইউনিয়নে ২৬ ও সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নে ২৫ হেক্টরসহ ১১টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার মাঠ গুলোতে বিচ্ছিন্ন ভাবে গমের চাষ হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
কৃষি অফিস উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের বাদেখানপুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে কৃষক জিয়াউর রহমান ৬ বিঘা জমিতে গম চাষের প্রদর্শনী প্লট করেছেন। ইতোমধ্যে অধিকাংশ গমে শীষ বের হতে শুরু করেছে। কৃষক জিয়াউর রহমানের এই প্রদর্শনী প্লট এলাকার কৃষককে গম চাষে আগ্রহী করে তুলবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
সূত্র জানায়, চৌগাছার কিছু নিচু এলাকা ছাড়া বাকি সব এলাকার মাটি গম চাষের জন্য বরাবরই ভালো। এমন এক সময় ছিল এ জনপদের চাষিরা ব্যাপকভাবে গম চাষ করতেন। কিন্তু গত কয়েক বছর হঠাৎ করে গমে ভাইরাস দেখা দেয়ায় কৃষক বেশ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। যার কারনে চাষিরা গমের পরিবর্তে ওই জমিতে ধানসহ অন্যান্য ফসল ফলাতে শুরু করেন। উপজেলার মাটির গুনাগুন ভেদে বিভিন্ন জাতের গম চাষ হয়ে থাকে। এ বছর বারী-২৮, বারী-৩০ ও বারী-৩৩ জাতের গম চাষ বেশি লক্ষ্য করা গেছে। এই জাতগুলোতে ফলন বেশি ও রোগ বালাই কম হওয়ার কারণে কৃষকদের অধিক পছন্দ। খড়িঞ্চা নওদাপাড়ার কৃষক আব্দুল খলিল বলেন, এমন এক সময় ছিল শীত এলেই সব চাষি প্রতিযোগিতার সাথে গম চাষ করতেন। কে কত বেশি গম চাষ করবে এই নিয়ে চলতো প্রতিযোগিতা। কিন্তু বেশ কয়েক বছর গমের কাক্সিত মূল্য না পাওয়া ও ভাইরাস দেখা দেয়ায় মানুষ গম চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রইসউদ্দিন বলেন, ‘বিগত বছরে গমে ভাইরাস দেখা দেয়ার কারণে কৃষকদের মাঝে এক ধরনের ভীতি দেখা দেয়। কৃষি অফিস উপজেলার প্রতিটি এলাকায় গিয়ে কৃষককে গম চাষে উদ্বুদ্ধ করতে থাকে। আশা করছি এখন থেকে প্রতি বছর ধীরে ধীরে গম চাষ বৃদ্ধি পাবে।’