যশোরে পৌরসভা নির্বাচন: ঋণমুক্ত সনদ দিয়েও প্রার্থিতা ফিরে পেলেন না মারুফুল ইসলাম

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর পৌরসভা নির্বাচনে ব্যাংকের সেই ভুলের পর ঋণমুক্ত সনদ দিয়েও প্রার্থিতা ফিরে পাননি বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম। খেলাপি না হয়েও এনসিসি ব্যাংক যশোর শাখা প্রথমে থেকে খেলাপি ঘোষণা ও পরে ঋণমুক্ত ঘোষণা করে। সে অনুযায়ী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কিয়ারেন্স সনদও প্রদান করেন। ৪ ফেব্রুয়ারি জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে তিনি বাদ পড়েন। পরে ব্যাংকের ওই কর্মকর্তা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ভুল স্বীকার করে বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, মারুফুল ইসলাম খেলাপি নন। এরপরও তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। পরে তিনি আপিল করেন। গতকাল রোববার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পুনরায় যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মোঃ তমিজুল ইসলাম খান, নিজেই যাচাই-বাছাই করেন। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মারুফুল ইসলামের পক্ষে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করেন আইনজীবী সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, দেবাশীষ দাস, মোহাম্মদ আলী ও হাজী আনিছুর রহমান মুকুল। উপস্থাপন শেষে বিএনপির প্রার্থির আইনজীবীরা বলেন, আমাদের প্রার্থীর কাগজপত্র আগেই ঠিক ছিল। আপিলে আমরা বক্তব্য সঠিকভাবে উপস্থাপন করেছি। আমরা শতভাগ আশাবাদী প্রার্থির আপিল মঞ্জুর হবে এবং প্রার্থিতা ফিরে পাবেন। না পাওয়ার কোন যৌক্তিকতা নেই। তারা বলেন, জেলা প্রশাসক আমাদের বলেছেন, আগামীকাল বিকাল ৫টার সময় শুনানীর ফলাফল জানিয়ে দেয়া হবে। পরে এই প্রতিবেদককে জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা সকলের কথা শুনলাম আমি নিজে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখে জানাবো। রাতে একটু খোঁজ নিয়েন। পরে তিনি রাতেই এই প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন তিন প্রার্থীর আপিল না মঞ্জুর হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে। আপিল শুনানির পর বিএনপি প্রার্থীর আইনজীবী অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে যাব। সেখানে আমাদের প্রার্থী তার প্রার্থিতা ফিরে পাবেন। অপর আইনজীবী দেবাশীষ দাস বলেন, জেলা প্রশাসক বাংলাদেশ ব্যাংকের কিয়ারেন্স চেয়েছেন। যেখানে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বলছে, প্রার্থী খেলাপি নন। সেহেতু তিনি আমাদের আপিল মঞ্জুর করতে পারতেন। বিএনপি প্রার্থী মারুফুল ইসলাম বলেন, জেলা প্রশাসক সোমবার জানাতে চেয়েছিলেন। তারপরও রাতে যখন জানতে পারলাম, তখন আমি আপিলের শুনানির কপি তুলে উচ্চ আদালতে যাব। উচ্চ আদালতের মাধ্যমে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আপিলকারী অন্য দুই প্রার্থী হলেন, স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আব্দুর রহমান ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী রিয়াজউদ্দিন।