যশোরে এলো করোনার ৯৬ হাজার ডোজ টিকা

0

বিএম আসাদ ॥ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যশোরে টিকা এসেছে। একটি ভায়ালে ১০ ডোজ করে ৯ হাজার ৬শ’ ভায়ালে মোট ৯৬ হাজার ডোজ টিকা গতকাল ভোর ৬টার বেক্সিমকো ফার্মার ফ্রিজার ভ্যানযোগে যশোর সিভিল সার্জন অফিসে পাঠানো হয়। সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন যশোর ঔষধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল হাসান এমওসিএস ডা. রেহনেওয়াজ প্রমুখ এ টিকা গ্রহণ করেন। করোনা টিকার ভ্যাকসিন প্রদান করার জন্যে আজ সোমবার থেকে সংশ্লিষ্ট সদস্যদের প্রশিক্ষণ শুরু হচ্ছে। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষ হবে। ৭ ফেব্রুয়ারি মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হবে।
যশোর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড অ্যাসট্রো জেনিকা কর্তৃক উদ্ভাবিত কোভিশিল্ড নামে এ টিকা ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউটে প্রস্তুত করা হয়েছে। টিকা যশোরে আসার পর সিভিল সার্জন অফিসের ইপিআই স্টোরে ‘ডব্লিউ আইসিতে (ডওঈ) +২০ ডিগ্রি ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট থেকে +৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট তাপমাত্রায় রাখা হয়েছে। টিকার নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে। ইপিআই রুম পাহারা দেয়ার জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মী পদায়ন করা হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, যশোরে ৯৬ হাজার লোক এ ভ্যাকসিন পাবেন। এক একটি ভায়ালে ১০টি করে ডোজ রয়েছে। এ ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য সরকারি নিয়মানুযায়ী ‘সুরক্ষা’ অ্যাপ (অচচ)এর মাধ্যমে এনআইডি নম্বর ও নাম-ঠিকানা দিয়ে অনলাইনে পাঠাতে হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বাস্থ্যকর্মী, বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি দপ্তর, প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যম কর্মীগণকে প্রথম পর্যায়ে টিকার ভ্যাকসিন দেয়া হবে। পুলিশ হাসপাতালে ১টি কেন্দ্রে ১টি টিম, যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতলে ১টি কেন্দ্রে ৪টি টিম এবং ৭টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১টি কেন্দ্রে, ৩টি করে ২১টি টিম সর্বমোট ৩৪ টিম প্রাথমিক পর্যায়ে কাজ করবে ভ্যাকসিন প্রদানে। এছাড়া যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮টি, সিভিল সার্জন অফিসে ২টি মিলে ১০টি টিম সংরক্ষিত থাকবে। পরবর্তী পর্যায়ে কাজ করার জন্যে জেলার ৯১টি ইউনিয়নে ১টি করে ৯১টি টিম গঠন করা হয়েছে টিকার ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য। প্রতিটি টিমে ৬ জন সদস্য থাকবেন। সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানিয়েছেন, আজ ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ভ্যাকসিন প্রদান টিমের সদস্যদের জেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ শুরু হবে। ৭ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করার তোড়জোড় চলছে।