ভারত থেকে আমদানির জেরে কমেছে দেশী পেয়াঁজের দাম

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ভারত থেকে দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস পর আমদানি শুরু হওয়ায় বাজারে দেশী পেঁয়াজের দাম কমেছে। দুদিনের ব্যবধানে দুই দফায় কেজিতে দাম কমেছে ৫-৬ টাকা।
গত শনিবার বেলা সাড়ে ৩টায় ভারত থেকে ১৯ টন পেঁয়াজ বোঝাই একটি ট্রাক দেশে প্রবেশের মধ্য দিয়ে বন্দর দিয়ে দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস পর পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স বাবু এন্টারপ্রাইজ এ পেঁয়াজ আমদানি করেন। পরে আরো চারটি ট্রাকে ১১৪ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাইয়ান ট্রেডার্স এসব পেঁয়াজ আমদানি করে।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা নজরুল ইসলাম ও মুকুল হোসেন বলেন, কয়েক দিন আগেও পেঁয়াজ কিনেছি প্রতি কেজি ৪০-৪৫ টাকায়। গতকাল পেঁয়াজ কিনছি ৩০ টাকায়। পেঁয়াজের এমন দাম কমায় আমাদের মতো সাধারণ মানুষের বেশ সুবিধা হয়েছে।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী শাকিল খান ও শেরেগুল ইসলাম বলেন, দুদিন আগেও যে পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকা বিক্রি করেছিলাম, সেই পেঁয়াজ গতকাল ৩০-৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে আসার ফলে দেশী পেঁয়াজের দাম কমেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ প্রকারভেদে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মাহফুজার রহমান বাবু বলেন, প্রতি টন পেঁয়াজ আমরা প্রকারভেদে ২৫০ ডলার মূল্যে এলসি খুলেছি। তবে কেউ কেউ ২৭৫ ডলার মূল্যেও এলসি খুলেছে।
দীর্ঘদিন পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হলেও দাম সে তুলনায় নেই। অনেকে পেঁয়াজ দেখলেও কেনার জন্য ক্রেতা পাওয়া যায়নি। আমার ইন্দোর জাতের ১৯ টন পেঁয়াজের মধ্যে সেদিন ভালো কিছু পেঁয়াজ ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পেরেছি। বাকিগুলো ২৫-২৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হয়েছে। গতকাল আমদানিকরা নাসিক জাতের পেঁয়াজা ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন।