উপকরণ পড়ে রয়েছে স্টোরে : তিনমাসেও চালু হয়নি করোনা রোগীদের আইসিইউ

0

বিএম আসাদ ॥ সবকিছু প্রস্তুত থাকার পরও যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে আইসিইউ চালু হচ্ছে না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ইউনিটের প্রয়োজনীয় উপকরণ তিনমাস ধরে স্টোরে পড়ে রয়েছে।
সূত্র জানিয়েছেন, এ হাসপাতালে আইসিইউ চালু করার জন্যে প্রথম শর্ত হচ্ছে অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন। প্লান্ট থেকে পাইপের মাধ্যমে ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীর অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়। ইতোমধ্যে প্লান্টের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্লান্ট থেকে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য উন্নতমানের পাইপ বসানো হয়েছে। যেখানে মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হবে। ৩শটি অক্সিজেন সিলিন্ডার ও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৩য় তলাবিশিষ্ট হাসপাতালের উত্তর পাশে ২য় ও ৩য় তলা ডেকোরেশন করা হয়েছে লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে। যেখানে মনোরম পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। তয় তলায় কোভিড-১৯ রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। ২য় তলায় আইসিইউ ওয়ার্ড স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে রোগীর নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য রয়েছে ৮টি ভেন্টিরেটর, ১১টি আইসিইউ বেড এবং ৫টি হাইফো ন্যাজাল ক্যানোলা। কেন্দ্রীয় ঔষুধাগার (সিএমএইচডি) থেকে এ সকল উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে। সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু বাকী এ সকল উপকরণ আইসিইউ বেড স্থাপন করা এবং সংযোগ দেয়া। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক সিএমএইচডি থেকে প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান এসে এ হাসপাতালে আইসিইউ বেড স্থাপন করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে আইসিইউ ওয়ার্ডের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও বেড স্থাপনের অভাবে আইসিইউ চালু হচ্ছে না। এ কাজটি সম্পন্ন হলে শুধু কোভিড-১৯ রোগী নয়, অন্যান্য রোগে আক্রান্তরাও আইসিইউ-তে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর স্বার্থে খুব দ্রুত চালু করার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে আইসিইউ। কিন্তু অদৃশ্য কারণে এটি দ্রুত চালু করা হচ্ছে না। এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ দিলীপ কুমার রায়ের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, আইসিইউ চালুর সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু বেড স্থাপনের কাজ বাকী। ঢাকা থেকে লোক এসে এ বেডগুলো স্থাপন করলেই ইউনিটে চিকিৎসা চালু হবে।