ওদের মনেও বিজয় দিবসের আনন্দ

0

ওরা সবাই একে অপরের পরিচিত। একই এলাকায় বেড়ে ওঠা। কেউ কেউ একসঙ্গে খেলাধুলা করে আবার স্কুলেও যায়। আজ বিজয় দিবসে ওরা দলবেঁধে ঘুরতে বের হয়েছে। রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকার মধুবাগ ব্রিজের কাছে এই শিশুদের দেখা পাওয়া গেল। কথা হয় সাকিফা, শাহনাজ, রাকিব, নুর মোহাম্মদ, সুরাইয়া, লামিয়া ও শিরিনের সঙ্গে। ওরা বললো- আজ বিজয় দিবস, খুশির দিন। আমরা ঘুরবো-ফিরবো আর খাবো।jagonews24নুর মোহাম্মদ বলে, আমার খুব ভালো লাগছে। একসঙ্গে সবাই আজ ঘুরছি। আজ আমরা সবাই আনন্দ করবো। লামিয়া ঘরে থাকা শাড়ি আর মায়ের কিনে দেয়া ফুলের ব্যান্ড মাথায় দিয়ে বেরিয়েছে। সাকিফা আগের পুরোনো জামাই পরেছে কিন্তু ওর মা সাজিয়ে দিয়েছে। আর নুর মোহাম্মদ তো প্রতিদিনের ব্যবহৃত গেঞ্জি, প্যান্ট পরে ঘুরতে বের হয়েছে।jagonews24কথায় কথায় জানা গেলো, ওদের কারোর বাবা নেই। কেউ কেউ মায়ের কাছে থেকে বড় হচ্ছে। মা অন্যের বাসা-বাড়িতে কাজ করে তাদেরকে স্কুলে পাঠায়। আর কারোর বাবা ভ্যান, রিকশা চালায়। আর আজ বিজয়ের দিন বলে তারা দলবেঁধে ঘুরছে। সুরাইয়া বললো, আমরা সবাই বাবা-মায়ের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ঘুরতে আসছি। সবাই টাকা দিয়ে একসঙ্গে ফুচকা, আইসক্রিম খাবো। আমাদের খুব ভালো লাগছে।jagonews24ঘুরতে ঘুরতে দেখা গেলো, ঝিলের পাড় ধরে দলবেঁধে ওরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। ফুটপাতে ফুল বিক্রেতার কাছ থেকে ফুল কেনার জন্য দাম করছে। আবার কেউ বিজয় দিবসের স্টিকার, জাতীয় পতাকা কেনার জন্য দামাদামি করছে। যার টাকা আছে সে কিনছে। যার টাকা নেই সে ফুল বিক্রেতা কিংবা পতাকা বিক্রেতার কাছে আবদার করছে। কিছুক্ষণ পর প্রত্যেকে ১০ টাকা করে তুলে ফুচকা খাওয়ার জন্য টাকা গোছায়। পরে আনন্দ-আড্ডার মধ্য দিয়ে ওরা ফুচকা খেতে থাকে। আর এভাবেই ওদের মনে মহান বিজয় দিবসের আনন্দ জায়গা করে নেয়।